উত্তর : নখ কর্তন করা সৃষ্টিগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৯, ৫৮৯০, ৫৮৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৭)। সঙ্গে সঙ্গে এর সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তাহল- চল্লিশ দিনের অধিক না রাখা (ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৮; ইবনু মাজাহ, হা/২৯৫)। সুতরাং যে ব্যক্তি নখ কর্তন করে না, সে সৃষ্টিগত সুন্নাতের বিরোধী। নখ কাটতে বলার তাত্ত্বিক কারণ হল- ১. নখকে জীবাণু ও নোংরা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ২. কাফিরদের সাদৃশ্য থেকে দূরে রাখা এবং ৩. পশুতুল্য আচরণ থেকে বিরত রাখা’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৭৩)।
একদা শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, ‘কোন কোন মহিলা তাদের নখগুলো মাসের পর মাস রেখে দেয় এবং তারা দাবি করে যে, এগুলো সৌন্দর্যের প্রতীক’। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বৈধ নয়, চল্লিশ দিন পূর্ণ হলেই নখ কাটা ওয়াজিব হয়ে যাবে’ (ফাতাওয়া নূরন ‘আলাদ দারব ইবনে বায, ৯ম খণ্ড, পৃ. ২৫৭)। এতদ্ব্যতীত এটা ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু ও অন্যান্য বিজাতীদের সংস্কৃতি। অথচ ইসলামে কাফিরদের সঙ্গে সাদৃশ্য স্থাপন করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫১; আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৫৬, ৬১৬৮-৬১৬৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৪০)।
প্রশ্নকারী : মাহফুয, সঊদী আরব।