উত্তর : গীবতকারীর আমল যার গীবত করা হয়েছে তার আমলনামায় চলে যাবে। তবে দুনিয়াতে যদি যার গীবত করা হয়েছে তার নিকট থেকে ক্ষমা করা হয় বা ক্ষমা চেয়ে নেয়া হয়, তাহলে সমস্যা নেই। কেননা গীবত হল এক প্রকার যুলম। যা বান্দাদের একে অপরের দ্বারা সংঘঠিত হয়। এই যুলম আল্লাহ ছেড়ে দেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে মীমাংসা না করে’ (মুসনাদুল বাযযার, হা/৬৪৯৩; মুসনাদ আবী দাঊদ আত-ত্বায়ালিসী, হা/২২২৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৬৭; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/২০২৭৬; সনদ ‘হাসান’; ছহীহুল জামেঈ, হা/৩৯৬১; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৯২৭)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের উপর তার সম্মান বা অন্য কোন বিষয়ে অত্যাচার করেছে, তবে সে যেন তার নিকট হতে তা মাফ করে নেয় ঐদিনের পূর্বেই, যেদিন তার নিকট দিরহাম কিংবা দীনার কিছুই থাকবে না। আর যদি তার নিকট নেক আমল থাকে, তবে তার অত্যাচার পরিমাণ নেকী নেয়া হবে, আর যদি তার কাছে নেকী না থাকে, তবে অত্যাচারিত ব্যক্তির গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৯)।
প্রশ্নকারী : শাহীন, টাঙ্গাইল।