উত্তর : নগদ অর্থের যাকাতের পরিমাণ হল চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫% কিংবা এক হাজারে ২৫ টাকা (আল-মাউসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ, ২১/২৯-৩০ পৃ.; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/৪৩৯ পৃ.)। ছহীহ হাদীছে এসেছে সোনা, রূপা অথবা অন্যান্য মুদ্রায় যাকাতের পরিমাণ হল চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫%। যেমন রাসূল (ﷺ) বলেন, وَفِي الرِّقَّةِ رُبْعُ الْعُشْرِ ‘রৌপ্যের যাকাত চল্লিশ ভাগের এক ভাগ’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৫৪, ১৫৭৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সূত্রে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমার কাছে দু’শো দিরহাম থাকলে এবং তার উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে পাঁচ দিরহাম (যাকাত) দিবে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশ দীনারের কমে যাকাত নেই। বিশ দীনারে উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে অর্ধ দীনার যাকাত দিতে হবে। এরপর যা বাড়বে তাতে উপরিউক্ত হিসাবে যাকাত দিতে হবে (আবূ দাঊদ, হা/১৫৭৩, ১৫৭২; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৯১)।
উপরিউক্ত হাদীছে রৌপ্যের যাকাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘২০০ দিরহামে ৫ দিরহাম যাকাত লাগবে। অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫%। আর স্বর্ণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০ দীনারে অর্ধ দীনার যাকাত লাগবে। অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫%। অতঃপর উপরের দিকে যত বাড়বে তাতে উপরোক্ত হিসাবে যাকাত দিতে হবে। (১৪৫৬০০)। নগদ অর্থের যাকাত হিসাব করার পদ্ধতি হল, আপনি প্রতি এক হাজার টাকার বিপরীতে ২৫ টাকা যাকাত আদায় করবেন। অর্থাৎ ২.৫%। যদি দশ হাজার টাকা হয় তাহলে এর যাকাত হবে ২৫০ টাকা। অথবা আপনি যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদকে ৪০ দিয়ে ভাগ করতে পারেন। এই বিভাজনের ভাগফলই আপনার উপর আবশ্যকীয় যাকাতের অংশ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৭৯৭২)।
প্রশ্নকারী : সাইফুল্লাহ, খুলনা।