উত্তর : যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তা সাধারণ পানি পদবাচ্য থাকে এবং এমন নাপাকী মিশ্রিত না হয় যাতে পানির বৈশিষ্ট্য সমূহে কোন প্রভাব পড়ে (অর্থাৎ রং, গন্ধ ও স্বাদ অবিকৃত থাকে) ততক্ষণ পর্যন্ত তা পবিত্রকারী হিসাবে গণ্য হবে (আল-মুগনী, ১/৩১; আল মাজমূঊ, ১/২০৫; আল-মুহাল্লা, ১/১৮৩; মাজমূঊল ফাতাওয়া, ২০/৫১৯; আল-আউসাত্ব, ১/২৮৫ পৃ.)। কারণ মৌলিকভাবেই পানি পবিত্র। তাকে কোন জিনিস অপবিত্র করতে পারে না। নবী (ﷺ) বলেছেন, إنَّ الْمَاءَ طَهُوْرٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ ‘নিশ্চয় পানি পবিত্র, তাকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না’ (আবূ দাঊদ, হা/৬৭)। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, এর অর্থ হল যতক্ষণ পর্যন্ত তাতে কোন অপবিত্র জিনিস পড়ে তার স্বাদ অথবা গন্ধ অথবা রং পরিবর্তন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র। আর পরিবর্তন হয়ে গেলে, আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে তখন এটি অপবিত্র হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যদি পানিতে গাছের পাতা বা এ জাতীয় জিনিস পড়ে, তাহলে তা অপবিত্র হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত পানিকে পানি বলা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরদিকে কোন কিছু সংমিশ্রণ হওয়ার কারণে যদি পানির নাম পরিবর্তন হয়ে যায়, যেমনঃ দুধ, চা, কাহ্ওয়া ইত্যাদি। তখন সেটা পানির বিধান থেকে বহির্ভূত হয়ে যায়, তখন তাকে আর পানি বলা যাবে না। এই সংমিশ্রণ ঘটার পরও কিন্তু সেটি পবিত্র, যদিও তা পবিত্রকারী নয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১০/১৪ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কোন নাপাকী জিনিস পড়ার কারণে যখন তার তার স্বাদ অথবা গন্ধ অথবা রং পরিবর্তন হয়ে যায়, সেটাই অপবিত্র। আর যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে সেটা পবিত্র’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১১/৮৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আরাফাত যামান, পাবনা।