শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
উত্তর :  যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তা সাধারণ পানি পদবাচ্য থাকে এবং এমন নাপাকী মিশ্রিত না হয় যাতে পানির বৈশিষ্ট্য সমূহে কোন প্রভাব পড়ে (অর্থাৎ রং, গন্ধ ও স্বাদ অবিকৃত থাকে) ততক্ষণ পর্যন্ত তা পবিত্রকারী হিসাবে গণ্য হবে (আল-মুগনী, ১/৩১; আল মাজমূঊ, ১/২০৫; আল-মুহাল্লা, ১/১৮৩; মাজমূঊল ফাতাওয়া, ২০/৫১৯; আল-আউসাত্ব, ১/২৮৫ পৃ.)। কারণ মৌলিকভাবেই পানি পবিত্র। তাকে কোন জিনিস অপবিত্র করতে পারে না। নবী (ﷺ) বলেছেন, إنَّ الْمَاءَ طَهُوْرٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ ‘নিশ্চয় পানি পবিত্র, তাকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না’ (আবূ দাঊদ, হা/৬৭)। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, এর অর্থ হল যতক্ষণ পর্যন্ত তাতে কোন অপবিত্র জিনিস পড়ে তার স্বাদ অথবা গন্ধ অথবা রং পরিবর্তন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র। আর পরিবর্তন হয়ে গেলে, আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে তখন এটি অপবিত্র হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যদি পানিতে গাছের পাতা বা এ জাতীয় জিনিস পড়ে, তাহলে তা অপবিত্র হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত পানিকে পানি বলা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরদিকে কোন কিছু সংমিশ্রণ হওয়ার কারণে যদি পানির নাম পরিবর্তন হয়ে যায়, যেমনঃ দুধ, চা, কাহ্ওয়া ইত্যাদি। তখন সেটা পানির বিধান থেকে বহির্ভূত হয়ে যায়, তখন তাকে আর পানি বলা যাবে না। এই সংমিশ্রণ ঘটার পরও কিন্তু সেটি পবিত্র, যদিও তা পবিত্রকারী নয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১০/১৪ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কোন নাপাকী জিনিস পড়ার কারণে যখন তার তার স্বাদ অথবা গন্ধ অথবা রং পরিবর্তন হয়ে যায়, সেটাই অপবিত্র। আর যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে সেটা পবিত্র’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১১/৮৬ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : আরাফাত যামান, পাবনা।





প্রশ্ন (৬) : আযানের সময় কোন ওয়ায বা কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : নানীর আপন ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম, না-কি গায়রে মাহরাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭): আমি বসবাসের জন্য একটি ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করেছি এবং সেই সুবাদে ব্যাংকে কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রেখেছি। এই সঞ্চিত সম্পদে কি যাকাত আবশ্যক হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জনৈক ইমাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় করে দিবেন। আর তার জন্য জান্নাতে এক হাজার মনোরম বালাখানা তৈরি করা হবে (আশরাফ আলী থানবী, পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা, পৃঃ ৩০৯)। উক্ত মর্মে ছহীহ কোন বর্ণনা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ওযূতে কিভাবে কান মাসাহ করতে হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : কোন ইবাদতেই মন বসে না। এখন করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : বাড়ীর মধ্যে কুকুর বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাচ্চা সহ কুকুরকে বের করে দিতে হবে, না-কি বাড়ীতে থাকলে কোন সমস্যা হবে। এ ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : জানাযা পড়ার সময় মৃত ব্যক্তি ভাল ছিল কি-না জিজ্ঞেস করা : - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আমি যদি আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ছালাত আদায় করি, তাহলে কি জামা‘আতের নেকী থেকে বঞ্চিত হব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : প্রচলিত আছে যে, ‘জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, পৃথিবীতে বৃষ্টি হলে কত ফোটা পানি পড়ে, আমি তা গুণতে পারি, কিন্তু যৌবনের ইবাদতের ছওয়াব গুণে শেষ করতে পারি না’। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ‘যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে সে যেন একশ’টি হজ্জ আদায় করল বা একশ’টি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশ’ ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ঐ দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলো পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।) ইমাম নাসাঈর বর্ণনায় ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র পরিবর্তে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর’ ১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, ৬/২০৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি আমলযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ