উত্তর : শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রামাযান মাসে দিনের বেলায় ইনহেলার বা পাফার ব্যবহার করলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কুয়েতের ফিক্বহশাস্ত্রবিদরা এই মতটিকেই গ্রহণ করেছেন (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৬৫ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছাইমীন, ১৯/২০৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৭৬৫০)।
প্রথমতঃ এ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে যে স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তা মূলত হাওয়া বা বায়ু, এর সীমানা হল ফুসফুস এবং এর কাজ হল ঐ ধমনী ও শ্বাসনালীকে প্রসারিত করা, যেগুলো হাঁপানি দ্বারা সংকুচিত হয়। তাছাড়া এই স্প্রে পাকস্থলীতে পৌঁছায় না এবং রোগীর জন্য খাদ্য বা পানীর প্রয়োজনও পূরণ করে না (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছাইমীন, ১৯/২১১ পৃ.; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৫; মাজাল্লাহ, মাজমাঊল ফিক্বহিল ইসলামী, ১০/৬৪১ পৃ.)। দ্বিতীয়তঃ স্প্রে খাওয়া বা পানের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এটি রোগীর জন্য পুষ্টিও সরবরাহ করে না (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৬৫ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছাইমীন, ১৯/২১১ পৃ.)।
তৃতীয়তঃ শ্বাসকষ্ট উপশমকারী একটি স্প্রের বোতলে সব মিলিয়ে ১০ মিলিমিটার তরল ঔষুধ থাকে, যা দিয়ে ২০০ বার স্প্রে করা যায়। দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক বার স্প্রেতে এক ফোঁটারও কম তরল পদার্থ থাকে। এই এক ফোঁটারও কম তরল পদার্থ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় ভাগটি প্রবেশ করে শ্বাসনালীতে, ছোট ভাগটি থেকে যায় গলনালীতে এবং খুবই সামান্য পরিমাণ পাকস্থলীতে প্রবেশ করতে পারে। এই পরিমাণটি এতই যৎসামান্য যে, তা হিসাবে আসে না। যেমনিভাবে কুলি ও নাকের সামান্য অংশ পানি হিসাবে আসে না, বরং কুলি করলে ও নাকি পানি দিলে যে পরিমাণ পানি ভেতরে প্রবেশ করে, তার পরিমাণ স্প্রের চেয়ে বেশি (মাজাল্লাহ, মাজমাঊল ফিক্বহিল ইসলামী, ১০/৭৫৯ পৃ.)।
চতুর্থতঃ দাঁতন ব্যবহারের উপর ক্বিয়াস করে এটিকে জায়েয করা হয়েছে। ডাক্তারগণ বলে থাকেন, আরাক গাছের মিসওয়াকে আট প্রকার রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা দাঁত ও মাঢ়িকে রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। পদার্থগুলো লালার সাথে মিশে গলনালীতে প্রবেশ করে। সঊদী আরবের ফাতাওয়া বোর্ডের স্থায়ী কমিটি এই মতটিই গ্রহণ করেছেন (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ১/১৩০ পৃ.; মাজাল্লাহ, মাজমাঊল ফিক্বহিল ইসলামী, ১০/৬৫৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, চারঘাট, রাজশাহী।