বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
উত্তর : যে জিনিসগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হারাম কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তা তৈরি করা, বিক্রয় করা ও মেরামত করাও হারাম। সেজন্য সকল মুসলিমের উচিত এমন প্রত্যেক জিনিসের বিক্রয় থেকে বিরত থাকা যা ন্যায়ের তুলনায় অন্যায় কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২৬/২৭৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০১০১, ২৯১১৬৮; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-২০৩১৬৪, ৩৫৯৯৬৮)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی، وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ، وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পর সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা কর না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন’ (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২ পৃ.; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)। সুতরাং সর্বদা হালাল-হারামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং হারাম ও সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে দূরে থাতে হবে। ইসলামী শরী‘আতের স্থিরীকৃত নীতিমালাসমূহের মধ্যে রয়েছে যে, إذا اجتَمَع الحلالُ والحرامُ غُلِّبَ الحرامُ ‘যখন কোন বিষয়ে হালাল ও হারামের মাসআলা একত্রিত হয়, তখন হারামের মাসআলা প্রাধান্য পায় অর্থাৎ সেটাকে হারাম বলে গণ্য করতে হবে’।

নবী করীম (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু সত্য হল শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হল দ্বিধা-সন্দেহ’ (তিরমিযী, হা/২৫১৮, সনদ ছহীহ)। ইসলামের নীতি হল, ‘দুনিয়াবী স্বার্থ হাছিলের আগে ধর্মীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে হবে’।

প্রশ্নকারী : মোবারক, ইন্ডিয়া।





প্রশ্ন (১৭) : কারো সন্তান মারা গেলে কোন্ দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : হুজুরকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : জুম‘আতুল বিদা‘ পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : তায়াম্মুমের সঠিক পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) :  যেখানে পানির ব্যবস্থা নেই, সেখানে পেশাব করার পর শুধু ঢিল বা টিস্যু নিয়ে পবিত্রতা হাছিল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এক রাক‘আত বিতর পড়া সঠিক নয়। আর ছালাত কখনো এক রাক‘আত হয় না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : শুক্রবার জুমু‘আর আযান কয়টা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যে ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে তার পিছনে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ‘তাক্বিয়া’ করা কোন্ ক্ষেত্রে হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : এমন আত্মীয়-স্বজন, যারা কুফরি কালাম বা যাদু-টোনার মাধ্যমে সংসার ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে, সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে, সংসারের সদস্যদের শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করে। এ ধরণের আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে এবং যোগাযোগ না করলে গুনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : খানা খাওয়ার পর প্লেটে হাত ধোয়া কি নিষেধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কোন মুসাফির ব্যক্তির এমন হতে পারে যে, তার ছিয়াম পালন অবস্থায় বিমান উড্ডয়নের পূর্বে সূর্য অস্ত গেল। ফলে সে ইফতার করল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের পরে সে সূর্য দেখতে পেল। এমতাবস্থায় তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ