উত্তর : গায়রুল্লাহর নামে পশু যবাই করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত (ফাতাওয়া ইবনে বায, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৩)। যার পরিণাম ইসলাম থেকে বহিষ্কার এবং তওবা ছাড়া মারা গেলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম (সূরা আত-তওবা : ১৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৭)। কারণ যবেহ করা একটি ইবাদত। এ জন্য এ ধরনের ব্যক্তির উপর আল্লাহ লা‘নত করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৭৮)। আল্লাহ বলেন, فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ ‘আপনার প্রভুর জন্য ছালাত আদায় করুন এবং কুরবানী করুন (সূরা আল-কাওছার : ২)। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপনি বলুন! আমার ছালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন এবং আমার মরণ সব কিছু বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরীক নেই, আর আমি এর জন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমিই প্রথম মুসলিম’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৬২-১৬৩)। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য পশু যবেহ করবে, চায় সে কোন ফেরেশতার উদ্দেশ্যে করুক বা নবী-রাসূলের উদ্দেশ্যে বা কোন অলী বা আলেমের উদ্দেশ্যে করুক সেটা শিরক হবে। আর এ ধরনের শিরককারীর উপর জান্নাত হারাম (সূরা আল-মায়েদাহ : ৭২)। গায়রুল্লাহর নামে যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম (সূরা আল-মায়েদাহ : ৩)।
প্রশ্নকারী : সাকিব, নওগাঁ।