উত্তর : মসজিদের জমি ওয়াক্ফ হতে হবে। আনাস ইবনু মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘নবী করীম (ﷺ) মদীনায় এসে মদীনার উচ্চ অংশে বনু আমর ইবনু আউফ গোত্রে অবস্থান করলেন। নবী করীম (ﷺ) সেখানে ২৪ দিন থাকলেন। তারপর তিনি বনু নাজ্জারকে ডেকে পাঠালে তারা ঝুলন্ত তরবারী সহ উপস্থিত হল। আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি নবী করীম (ﷺ) তাঁর সওয়ারীর উপর, আবূবকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর পিছনে এবং বনু নাজ্জারের দল তাঁর চারদিকে। অবশেষে তিনি আবূ আইয়ূবের বাড়ীর প্রাঙ্গণে তাঁর জিনিসপত্র নামালেন। তিনি যেখানে ছালাতের সময় হত, সেখানেই ছালাত আদায় করতেন। তিনি ছাগল ভেড়ার খোঁয়াড়ে ছালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি মসজিদ তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। তিনি বনু নাজ্জারের প্রধানকে ডেকে বললেন,
يَا بَنِى النَّجَّارِ ثَامِنُوْنِىْ بِحَائِطِكُمْ هَذَا قَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ
‘হে বনু নাজ্জার! তোমাদের এ বাগানটি আমার নিকট বিক্রি কর। তারা বলল, না, আল্লাহ্র কসম! আমরা একমাত্র মহান আল্লাহ্র নিকটে এর মূল্য চাই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪২৮)। উক্ত হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জমি ওয়াক্ফ করার পর মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। ওয়াক্ফ করতে দেরী করা আদৌ ঠিক নয় বরং ওয়াক্ফ করে মসজিদ নির্মাণ করা আবশ্যক (ফাতাওয়া নাযীরিয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬০)।
প্রশ্নকারী : আবুল হোসেন, রাজশাহী।