উত্তর : উক্ত আমলের পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। দ্রুত বিয়ে হওয়ার আশায় নির্দিষ্ট কিছু সূরা বা আয়াত নির্ধারিত সংখ্যায় ও সময়ে পাঠের আমল মনগড়া, ভ্রান্ত, কুসংস্কার ও বিদ‘আত। আবার কখনো কখনো তা শিরকের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বিবাহ তাড়াতাড়ি হওয়া এবং সুপাত্র বা সুপাত্রী পাওয়ার জন্য সূরা আহযাব লিখে রাখা অথবা নির্ধারিত সংখ্যায় দরুদ পাঠ করা, সূরা যোহা পাঠ করা, সূরা ইয়াসিন পাঠ করা, সূরা ক্বাছাছের ২৪ নং আয়াত পাঠ করা, সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াত পাঠ করা, আল্লাহ শব্দটি পাঠ করা, সূরা মারইয়াম পাঠ করা, সূরা মুজ্জাম্মিল পাঠ করা- সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী ও বাত্বিল আমল। কুরআন ও ছহীহ সুন্নায় এ মর্মে কোন তথ্য প্রমাণিত নয়। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘কেউ আমাদের এই দ্বীনের অংশ নয় এমন কিছু উদ্ভাবন করলে বা অনুপ্রবেশ ঘটালে তা পরিত্যাজ্য-প্রত্যাখ্যাত’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের কাজের মধ্যে এমন বিষয় উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই (দলীলবিহীন), তা অগ্রহণযোগ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭)।
অতএব বিবাহ সহ মানুষের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হল- মহান আল্লাহর কাছে দু‘আ করা। কেননা দুরাবস্থা, মন্দভাগ্য ও হতাশা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ ‘দু‘আ ব্যতীত আর কিছুতেই ভাগ্য পরিবর্তন হয় না’ (তিরমিযী, হা/২১৩৯)।
প্রশ্নকারী : কামরুন্নাহার, টাঙ্গাইল।