উত্তর : সম্মিলিতভাবে মসজিদে ইফতার করা দোষণীয় নয়। বিশেষ করে মুসাফির ব্যক্তিদের সুবিধার্থে প্রত্যেক মসজিদেই ইফতারের ব্যবস্থা থাকা উচিত। তবে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার মধ্যেও সংখ্যাতীত কল্যাণ নিহিত আছে। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘মসজিদে জামা‘আতবদ্ধভাবে ইফতার করার মধ্যে অপরিসীম কল্যাণ নিহিত আছে। যেমন, মুসলিমদের ঐক্যবন্ধন, আত্মার মিলন, ঐক্যের সমীকরণ বা একজাতীয়করণ, পরস্পরের পরিচিতি, সংহিত চেতনার পুনরুত্থান ইত্যাদি। অনুরূপভাবে স্বীয় গৃহে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার মধ্যেও অগনিত সুখসমৃদ্ধি আছে। যেমন, পরিবারের সদস্যদের একত্রীকরণ, ছিয়ামের বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনা করা, সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন বৃদ্ধি করা, সন্তানদের পানাহার ও বার্তালাপের শিষ্টাচার শেখানো, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনকে সুদৃঢ় করা ইত্যাদি। সুতরাং পরিবারের মালিকের উপর এই দু’য়ের মধ্যে সমতা বজায় রাখা অপরিহার্য। সেজন্য পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার জন্য কিছুদিন নির্ধারণ করা দরকার। আবার মসজিদে জামা‘আতবদ্ধভাবে ইফতার করার জন্যও কিছুদিন নির্দিষ্ট করা দরকার। যাতে উভয় কল্যাণেরই অধিকারী হতে পারে (ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-৩৮২৬৪)। এছাড়া প্রয়োজনে মসজিদে খাওয়া, পান করা ও ঘুমানো জায়েয (ইবনু মাজাহ, হা/৩৩০০, সনদ ছহীহ; ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ৪৩৯; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৯০)।
প্রশ্নকারী : সাদিকুর রহমান, মিরপুর-৬, ঢাকা।