উত্তর : কোন পুরুষ বা নারী কর্তৃক যাকাতের মাল তার দরিদ্র ভাই, বোন, চাচা, ফুফুসহ সকল দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনকে দিতে কোন আপত্তি নেই। যেহেতু এ সংক্রান্ত দলীলগুলো সাধারণ। বরং তাদেরকে যাকাত দেয়া হলে সেটা ছাদাক্বাহ ও আত্মীয়তার হক্ব উভয়ই আদায় হয়। যেমন সালমান ইবনু আমীর আদ-দাব্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِيْنِ صَدَقَةٌ وَعَلَى ذِي الْقَرَابَةِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ ‘অনাত্মীয় গরীব-মিসকীনকে যাকাত দান করলে তা যাকাতই (যাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায়) গণ্য হয়। আর আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত দিলে দ্বিগুণ (যাকাতের ছওয়াব এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ছওয়াব) হয়’ (তিরমিযী, হা/৬৫৮; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৪৪; নাসাঈ, হা/২৫৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২৭৯; ইরওয়াউল গালীল, হা/৮৮৩)।
বরং এক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় ফক্বীর-মিসকীনরা অগ্রাধিকার পাবে, কেননা এদের দেয়া হলে দ্বিগুণ নেকী অর্জিত হয়। তবে পিতা-মাতা এবং সন্তান-সন্ততি এর অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এরা আমাদের দায়িত্বাধীন। সুতরাং এদের দেখাশোনা করা, ভরণপোষণ করা এবং এদের পিছনে অর্থ ব্যয় করা আমাদের উপর অপরিহার্য। তাঁদের বংশীয় স্তর যত ঊর্ধ্বে হোক না কেন যেমন দাদা, পরদাদা এবং ছেলে ও মেয়েদের বংশীয় স্তর যত নিম্নে হোক না কেন যেমনঃ পৌত্র, প্রপৌত্র ইত্যাদি। এরা গরীব হলেও এদেরকে যাকাতের মাল দেয়া যাবে না। বরং সামর্থ্য থাকলে তাদের খরচ চালানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে যদি তাদের খরচ চালানোর মত অন্য কেউ না থাকে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১০/৫৭-৫৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৪/৩০১; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১৮/৪২২-৪২৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২১৮১০)।
প্রশ্নকারী : জহরুল ইসলাম, নাটোর।