বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ‘ঈলা’ (إِيْلَاء) শব্দের অর্থ হল: শপথ, কসম ইত্যাদি। এটি রাসূল (ﷺ)-এর জন্য খাছ নয়, বরং শরী‘আত সম্মত প্রয়োজনে সকলের জন্য জায়েয। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা নিজেদের স্ত্রীর কাছে না যাওয়ার শপথ (কসম) করে, তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি (মিলনে) ফিরে আসে, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আর যদি তারা ত্বালাকই দিতে (বিবাহ বিচ্ছেদ করতে) সংকল্পবদ্ধ হয়, তবে আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২২৬-২২৭)।

কোন স্বামী যদি কসম খায় যে, সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না। তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরী‘আতে ‘ঈলা’ বলা হয়। অতঃপর কসমের নির্ধারিত সময়সীমা পূর্ণ করে সম্পর্ক কায়েম করে নেয়, তাহলে তাতে কোন কাফ্ফারা নেই। কিন্তু যদি নির্ধারিত সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই সম্পর্ক কায়েম করে, তাহলে কসমের কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। আর যদি চার মাসেরও অধিক সময়ের জন্য কসম খায় কিংবা যদি কোন সময় নির্দিষ্ট না করেই কসম খায়, তাহলে আলোচ্য আয়াতে এই ধরনের লোকদের জন্য সময় নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে যে, চার মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর হয় সে স্বীয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক স্থাপিত করে নেবে, নতুবা তাকে ত্বালাক দিয়ে দেবে। (তাকে চার মাসের অধিক ঝুলিয়ে রাখার অনুমতি নেই।) প্রথম অবস্থায় তাকে কসমের কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। আর যদি সে উভয় অবস্থার কোনটাই গ্রহণ না করে, তাহলে তাকে কোন একটি গ্রহণ করার জন্য আদালত বাধ্য করবে। হয় সে তার সাথে সম্পর্ক কায়েম করে নেবে অথবা তাকে ত্বালাক দেবে। যাতে মহিলার সাথে কোন প্রকার যুলুম না হয়। চার মাস হয়ে গেলেই আপনা-আপনিই ত্বালাক্ব হয়ে যাবে না। (যেমন কোন কোন আলেমের অভিমত।) বরং স্বামী ত্বালাক্ব দিলে তবেই ত্বালাক্ব হবে। আর এ কাজে আদালতও তাকে বাধ্য করবে। অধিকাংশ আলেমের এটাই মত (তাফসীরে ইবনে কাছীর, মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৩২/২৭১; আল-মুগনী, ৮/৫৫১; ফাতাওয়া আল-লাজনাতুদ দায়িমাহ, ২০/২৬১; আশ-শারহুল মুমতি‘, ১৩/২১৮-২৩৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৯৮৮০)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল আলীম ইবনু মঈনুল হক, ভারত।





প্রশ্ন (১১): সারা বছর যোহরের ছালাতের সময় হয় ১১:৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১২:১৮ মিনিটের মধ্যে। কিন্তু অধিকাংশ আহলেহাদীছ মসজিদে ১২:৫০ বা ১টায় আযান দিয়ে ছালাত আদায় করা হয়। প্রশ্ন হল- এই সময়ে ছালাত আদায় করলে আওয়াল ওয়াক্ত থাকবে কি বা আওয়াল ওয়াক্তের ফযীলত পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : নারী-পুরুষ কি একসাথে চাকরি করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : অমুসলিম দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে কি? এমন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের হুকুম কী? এ বিষয়ে সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের অভিমত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : মাঠে ফুটবল খেলার সময় মাঝে মধ্যে ফুটবল মসজিদের দেওয়ালে লেগে যায়। এতে অনেকেই অনেক কিছু বলে। এতে কোনো গোনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : সালাফী মানহাজ মতে, আশ‘আরী আক্বীদা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয় অর্থাৎ বাতিল আক্বীদা। কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে আশ‘আরীর মধ্যে অন্যতম- ইমাম বায়হাক্বী, ইবনু হাজার আসক্বালানী, ইমাম দারাকুৎনী, খত্বীব বাগদাদী, ইমাম নববী, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী প্রমুখ। তাদের বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে ইলম নেয়ার ক্ষেত্রে সালাফী মানহাজের উছূল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ছালাতের সময় নারীদের পায়ের পাতা ঢেকে রাখা ওয়াজিব কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মা দুধ পানের দু‘আ পাঠ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : মুকিম অবস্থায় কোন্ কোন্ ছালাত (যোহর/আছর ও মাগরিব/এশা) জমা করে পড়া জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : সাত আসমানে সাতজন মুহাম্মাদ (ﷺ) আছেন। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : কোন্ কোন্ দিন ছিয়াম পালন করা নিষেধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : বিবাহ, জন্মদিন, দিবস পালন কিংবা বিভিন্ন গানবাজনা ও কনসার্টের জন্য ভিডিও ক্যামেরা ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ