উত্তর : জানা আবশ্যক যে, ঋণের সাথে যাকাতের কোন সম্পর্ক নেই। ঋণ বাদ দিয়ে গচ্ছিত সম্পদ যা থাকবে, তারই উপরেই যাকাত দিতে হবে। কারণ রাসূল (ﷺ) যাকাত আদায়কারীকে ঋণের কথা বলতেন না (আবুদাঊদ হা/১৫৮৩, সনদ হাসান; বুখারী হা/১৩৯৫; আহমাদ হা/২১৩১৬)। তবে আগে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হলে তার যাকাত আদায় করবে। ওছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে, তাহলে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পবিমাণ হলে সে তার যাকাত আদায় করবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৮৭৩; ইরওয়াউল গালীল, হা/৭৮৯, সনদ ছহীহ)। তার উপর যদি নিছাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর অতিবাহিত হয়, তাহলে তার উপর যাকাত আদায় করা ফরয (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ৯/১৮৭-৮৮ পৃ., ফৎওয়া নং-২৩৯০; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন নং-৩৫৯)।
প্রশ্নকারী : মুজাহিদ, নরসিংদী।