শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
উত্তর : কুরআনুল কারীমকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। তাই আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় তিলাওয়াত করা যাবে না। আর তা সম্ভবও নয়। কেননা এই ভাষার মধ্যে এমন এক অলৌকিক সৌন্দর্য আছে, যা অন্য কোন ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় এবং এর অক্ষরের মধ্যে এমন একটি স্বতন্ত্রবোধ ও অনন্যতা আছে, যা অন্য কোন ভাষার অক্ষর দ্বারা যথার্থ উচ্চারণ করা একেবারেই অসম্ভব। তবে প্রয়োজনে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা দোষণীয় নয় (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩/১২০-১২১ পৃ.)। ইমাম যারকাশী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কুরআনুল কারীমকে তিলাওয়াত করা হারাম’ (আল-ইতক্বান, ২/১৭১ পৃ.)

ইমাম ইবনু হাজার আল-হাইছামী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কুরআনুল কারীমকে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষার অক্ষরে লেখা হারাম’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩২৩০০)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পবিত্র কুরআনকে আরবী ভাষাতেই অবতীর্ণ করেছেন। এটি আরবী কুরআন। সুতরাং এটিকে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় পাঠ করা জায়েয নয়। ছালাতের মধ্যে এবং বাইরে উভয় অবস্থাতেই কুরআনুল কারীম আরবীতেই তিলাওয়াত করতে হবে। তবে হ্যাঁ, প্রয়োজনে অনারবদের জন্য তাঁর অর্থকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা দরকার। যাতে তারাও কুরআনের মূলভাব ও বিধি-বিধান সম্পর্কে অবগত হতে পারে (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ইবনু বায, তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, https://binbay.org.sa/fatwas/29156)

শায়খ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আরবী ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় কুরআনকে প্রকাশ করা অবৈধ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৯১৪৯৭)

শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), শাযখ আব্দুর রাযযাক আফিফী (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আরো অনেক বড় বড় আলিমের উপস্থিতিতে এ সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে পরবর্তীতে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থরূপে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে, تحريم كتابة القرآن الكريم بحروف غير عربية ‘কুরআনুল কারীমকে আরবী ভাষার অক্ষর ব্যতীত অন্য ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হারাম’ নামে। সেখানে বলা হয়েছে, উক্ত বিষয়ে অধ্যয়ন, আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর ঊলামা পরিষদের ঐকমত্যানুসারে এই সিদ্ধান্ত সংগৃহীত হল যে, ‘ল্যাটিন অক্ষরে বা অন্য কোন ভাষার অক্ষরে কুরআনুল কারীমকে লিপিবদ্ধ করা হারাম’ (তাহরীমু কিতাবাতিল কুরআনিল কারীম বি হুরূফি গাইরি আরাবিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬)


প্রশ্নকারী : আনোয়ার বিন সাদিক, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।




প্রশ্ন (২৩) : জনৈক লেখক তার বইয়ে লিখেছেন যে, আশূরার দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম)-এর তাওবা কবুল হয়েছে, নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর নৌকা যেদিন জূদী পাহাড়ে থেমেছিল, এই দিনেই ইউনুস (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ কবুল হয়েছিল। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ঈদ ও অনুরূপ সময়ে একজন ব্যক্তির নিজের ছবি তুলে পরিবারের কাছে পাঠানো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ই‘তিকাফে কোন্ তারিখে বসবে, আর কখন বের হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : গুল ব্যবহার করলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)-এর উপর অহীর মাধ্যমে কুরআন নাযিল করেছেন। প্রশ্ন হল- হাদীছ কিভাবে তার উপর নাযিল হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : আমি যদি আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ছালাত আদায় করি, অতঃপর জামা‘আতের সাথে আবার ছালাত আদায় করতে মসজিদে যাই, তাহলে মসজিদে গিয়ে আমি ছালাতে দাঁড়ানোর সময় কোন্ নিয়তে দাঁড়াব, ফরয না-কি নফল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : কোন ব্যক্তি সর্বদা আউয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত ছালাত ক্বায়েম করে কিন্তু মাঝে মধ্যে অশ্লীলতায় মগ্ন হয়ে যায় এবং ২/৩ ওয়াক্ত ছালাত ক্বাযা হয়ে যায়। এমন ব্যক্তির হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কারো বিয়েতে যদি ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মোহর না দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে স্ত্রীকে মোহর হিসাবে জমি বা টাকা দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : এক ছেলের বয়স ১৮ বছর। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে এবং যাবতীয় গুনাহ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু হস্তমৈথুনের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে না। তওবাহ করলেও পরে আবার উক্ত কর্মে লিপ্ত হয়। এ অবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০): ইসলামের পথ থেকে দূরে থাকার কারণে বিগত বছরগুলোতে আমি যাকাত আদায় করিনি। আলহামদুলিল্লাহ্, গত বছর থেকে আমি ইসলামে ফিরে এসেছি। এখন আমি তাওবাহ্ করেছি। আমার তাওবার কারণে কি আমি যাকাত আদায় করা থেকে অব্যাহতি পাবো? যদি অব্যাহতি না পায় তাহলে সমাধান কী? বিগত বছরগুলোর যাকাত আমি কিভাবে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : পিতা-মাতার দিকে রহমতের নযরে তাকালে একটি কবুল হজ্জের ছওয়াব পাওয়া যায়। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বিভিন্ন এলাকায় মানুষ মারা গেলে বাড়ি থেকে জানাযার স্থানে নেয়ার সময় চল্লিশ কদম পর্যন্ত গণনা করা হয়। প্রতি দশ কদম পর পর খাটিয়া বহনকারী লোকদের পরিবর্তন করা হয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ