উত্তর : দেরি করে ইফতার করলে বিদ‘আতের পর্যায়ে পড়বে এবং রাসূল (ﷺ)-এর নাফরমানি করা হবে। এমন ব্যক্তিকে খালেছ অন্তরে তওবা করতে হবে। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘সূর্যাস্ত প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করাটাই সুন্নাত সম্মত। কেননা সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ছিয়ামের সময়সীমার পরিসমাপ্তি ঘটে। সূর্যাস্তের পরও ইফতার করতে বিলম্ব করা, এটি মূলত বিদ‘আতী এবং সুন্নাহ বিরোধীদের কাজ। অতএব যে ব্যক্তি এমনটি করে তাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৯/২৪-২৫, ২৮-২৯, এবং ৩১-৩৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০০১৯)। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ مِنْ هَا هُنَا وَأَدْبَرَ النَّهَارُ مِنْ هَا هُنَا وَغَرَبَتْ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‘যখন রাত্রী ঐ দিক থেকে আবির্ভূত হয়, আর দিন এ দিক থেকে চলে যায় এবং সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়, তখনই ছিয়াম পালনকারী ইফতার করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১১০০-১১০১)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেন, لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ ‘লোকেরা যতদিন দ্রুত বা শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯৮)।
আমাদের দেশে ইফতারের যে সময়সূচী প্রকাশ করা হয়, সেগুলোতে সূর্যাস্তের সময়ের সাথে ১ মিনিট বা ২ মিনিট বা ৫ মিনিট যোগ করে ইফতারের সময় বলে লেখা হয়। কিন্তু হাদীছে উল্লেখিত কল্যাণ লাভ করতে চাইলে সূর্যাস্তের সময় জেনে নিয়ে সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে। সূর্যাস্ত হয়ে গেলেও ইফতার না করে বসে বসে অন্ধকার করা ইয়াহুদী ও থ্রিষ্টানদের কাজ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৫৩)।
প্রশ্নকারী : সামীঊল ইসলাম, রাজশাহী।