বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
উত্তর : ঈদের সম্ভাষণ হিসাবে ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ বলাই উত্তম। কারণ এটি ছাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ আল-আলহানী বলেন, আমি আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে ঈদের দিন তাঁর সঙ্গীদেরকে ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের সৎ কর্মগুলো কবুল করুন বলে সম্ভাষণ করতে দেখেছি (তামামুল মিন্নাহ, পৃ. ৩৫৫; আল-মুগনী, ৩/২৯৪; আল-হাবী ফিল-ফাতাওয়া, ১/৯৪ পৃ., সনদ হাসান)। যুবাইর ইবন নুফাইর বলেন, ঈদের দিনে রাসূল (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ছাহাবীগণ যখন মিলিত হতেন, তখন তাঁরা একে অপরকে ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের সৎকর্মগুলো কবুল করুন বলে অভ্যর্থনা জানাতেন (তামামুল মিন্নাহ, পৃ. ৩৫৪; ফাৎহুল বারী, ২/৫১৭, পৃ. ৬৪৪; আল-হাবী ফিল ফাতাওয়া, ১/৯৪)।

এছাড়া অন্যান্য শব্দ বা বাক্য দ্বারা যদি কেউ সম্ভাষণ জানায়, তবে তাকে অনেকেই জায়েয বলেছেন। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঈদে সম্ভাষণ জানানো জায়েয। এর জন্য কোন নির্দিষ্ট অভিবাদন নেই। বরং লোকেরা যা দ্বারা অভিবাদন জানাতে অভ্যস্ত তা সবই জায়েয যতক্ষণ না তা গুনাহের পর্যায়ে পৌঁছায়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছাইমীন, ১৬/২০৮-২১০ পৃ.)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এর জন্য কোন নির্ধারিত শব্দরূপ নেই। ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহাতে দু‘আ স্বরূপ ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অথবা ‘ঈদুকুম মুবারাক’ অথবা ‘ঈদ মুবারাক’ অথবা ‘যা‘আলাল্লাহু ঈদাকুম মুবারাকান’ বলা জায়েয ((মাজমূঊল ফাতাওয়া লিইবনি তাইমিয়্যাহ, ২/২২৮ ও ২৪/২৫৩ পৃ.; আল-মুগনী, ২/২৯৫ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ ইবনু বায   https://binbay.org.sa/fatwas/18428/%D8%B5%D9)।

মোদ্দাকথা হল, সালাফে ছালিহীনের নীতি অনুযায়ী ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ বলাটাই সর্বাধিক উত্তম হবে। তবে ‘ঈদুকুম মুবারাক’ অথবা ‘ঈদ মুবারাক’ অথবা যা‘আলাল্লাহু ঈদাকুম মুবারাকান’ বলাটাও জায়েয।

প্রশ্নকারী : আসিফ রেযা, সাতক্ষীরা।





প্রশ্ন (২৫) : ‘মদ পান করলে ৪০ দিন ছালাত কবুল হয় না’  মর্মে বর্ণিত কথার সত্যতা কতটুকু? আর এ কথা কি ঠিক যে, ‘মদ-গাঁজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে’?  - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : সূরা আন-নূরের ২৬ নং আয়াতের আলোকে বলা হয়, ‘যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন হবে’। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : আপন ভাগ্নির মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কবরস্থানের গাছ বিক্রয় করে মসজিদ কিংবা জনকল্যাণমূলক কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : কোন ব্যক্তি জ্বিনের আছর বা বদনযরে আক্রান্ত কি-না সেটা কিভাবে জানা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : স্বামীর একার উপার্জনে দুই সন্তানসহ, মা-বাবা, অবিবাহিত বোন এবং একজন ভাগ্নের মোট ৮ জনের সংসার চলে। স্বামীর উপার্জন দিয়ে সবার খরচ মেটাতে গিয়ে স্ত্রীকে ন্যূনতম প্রয়োজন (মৌলিক পোশাক-প্রসাধনী) থেকেও বঞ্চিত করা হয়। অথচ অন্যদের জন্য বিলাসবহুল ভাবেই মেটানো হয়। স্বামীর বাবার ব্যাংকে ৩০ লক্ষ টাকা জমা আছে। প্রতি মাসে নতুন করে সেখানে প্রায় ১৫ হাজার টাকা জমা করা হয়। স্বামীর সংসারে তাঁর বাবা কোন খরচ করেন না। পরিবারের সমস্ত ব্যয়ভার স্বামীকে একাই বহন করতে হয়। প্রশ্ন হল- স্ত্রী ও সন্তানদের বঞ্চিত করে বাবার টাকা ব্যাংকে জমিয়ে পরিবারের সকল সদস্যের ব্যয় বহন করা কি স্ত্রী ও সন্তানদের উপর যুলম নয়? স্বামীর পক্ষে এত বড় সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু তার বাবা-মায়ের অভিশাপের ভয়ে অমানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয়। কারণ বাবা-মাকে কিছু বললেই তারা সংসারে অশান্তি তৈরি করেন। এই বিষয়ে ইসলাম কী বলে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জুমু‘আর দিন কোন্ সময় সূরা কাহ্ফ পড়তে হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সম্মিলিত দু‘আ করে এমন মাযহাবী ইমামের পিছনে ছালাত শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ছোট বাচ্চাদের চোখে কাজল (কালো কালি) দেয়া, কোমরে ডোরা (কালো সুতা) বাঁধা অথবা কপালে কালো ফোঁটা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : গরীব-মিসকীন ছাড়া কুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ বলে হাদীছে উল্লেখ হয়েছে। প্রশ্ন হল- ইসলামের দৃষ্টিতে সে সব আত্মীয় কারা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪১) : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব হলে ‘মীমাংসামূলক ছালাত’ নামে ছালাত পড়া হয়। উক্ত ছালাতের কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ