উত্তর : আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো আনুগত্য করা যাবে না। চাই সে পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই বোন, রাষ্ট্র প্রধান যেই হোক না কেন। এ প্রসঙ্গে রাসূল (ﷺ) বলেন,
السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فِيْمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلَا سَمْعَ عَلَيْهِ وَلَا طَاعَةَ.
‘সকল মুসলিমেরই নেতার কথা শোনা ও আনুগত্য করা অবশ্য কর্তব্য, তা হোক তার পসন্দের বা অপসন্দের, তাকে যে পর্যন্ত গুনাহের কাজের নির্দেশ না দেয়া হবে। যদি তাকে গুনাহের কাজের নির্দেশ দেয়া হয় তাহলে তা না শুনা এবং না মানাই তার কর্তব্য’ (তিরমিযী, হা/১৭০৭)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, لَا طَاعَةَ فِيْ مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوْفِ ‘আল্লাহর নাফরমানীর কাজে কোনরূপ আনুগত্য নেই। আনুগত্য করতে হয় কেবল ন্যায়সঙ্গত কাজে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭২৫৭)। দ্বীনদার স্বামী এমন নির্দেশ দেয়ার কথা নয়। এ জন্য দ্বীনদার দেখে পাত্র-পাত্রী চয়ন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে বুঝাতে হবে, না বুঝলে দ্বীনের ফরয বিধান পালনের তাকীদে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।