উত্তর : মাফ চেয়ে নিলে হবে না। বরং ফুফুকে সম্পদ বুঝিয়ে দিতে হবে। কারণ পরিত্যক্ত সম্পত্তি বণ্টনে বিলম্ব করা উচিত নয়। শরী‘আতের নীতিমালা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন, ঋণ পরিশোধ এবং অছিয়ত পূর্ণ করার পরেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। সুতরাং কারোর জন্যই সম্পত্তির ভাগাভাগির বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। তবে হ্যাঁ, যদি সমস্ত অংশীদারের সম্মতিক্রমে বিলম্ব করা হয়, সেক্ষেত্রে কোন দোষ নেই। কিন্তু যদি তাদের একজনও তার প্রাপ্য অধিকার বা মালিকানা নেয়ার জন্য দাবী করে বা আগ্রহ প্রকাশ করে, সেক্ষেত্রে তাকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা অপরিহার্য’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৬/৪৪০-৪৪১ পৃ.; লিক্বাউল-বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-১৫৪; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৭৮৪২, ৪০৮৯, ১৮৮৪৮৯)। শরী‘আতসম্মত কারণ ব্যতীত অংশীদারদের অংশ প্রাপ্তিতে বাধা প্রদান করলে নিঃসন্দেহে তা যুলম হিসাবে বিবেচিত হবে। আর যুল্ম কাবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে (ধন-সম্পদের) যুল্ম করার জন্য দায়ী আছে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৯)।
দ্বিতীয়তঃ সন্তান হিসাবে আপনার উচিত পিতা-মাতার জন্য বেশি বেশি দু‘আ করা, দান-ছাদাক্বাহ্ করা, তাদের ভুলভ্রান্তি গুলোকে সংশোধন করা এবং তাদের জন্য তওবাহ ইস্তিগফার করা। কেননা রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ الرَّجُلَ لَتُرْفَعُ دَرَجَتُهُ فِي الْجَنَّةِ فَيَقُوْلُ أَنَّى هَذَا فَيُقَالُ بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ
‘জান্নাতে কিছু মানুষের মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা হবে। সে বলবে, এটা (মর্যাদা বৃদ্ধি) কিভাবে হল? সুতরাং তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তান-সন্ততিদের মাগফিরাত কামনা করার কারণে’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৬৬০; ইবনু আবী শায়বাহ, হা/২৯৭৪০; আহমাদ, হা/১০৬১০; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫৯৮)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল কুদ্দুস, যুগীপোতা, সাতক্ষীরা।