শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের ফসল হিসাবে আলী এবং মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর মাঝে সংঘটিত যুদ্ধকে কেন্দ্র করে শী‘আ সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় আপোস করার জন্য যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানায়। ফলে মীমাংসার জন্য আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষে আবু মূসা আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আর মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষে আমর ইবনুল আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে শালিস নিযুক্ত করা হয়। এতে একশ্রেণীর লোক আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষ ত্যাগ করে। তারা ইতিহাসে ‘খারেজী’ বলে পরিচিত। আরেক শ্রেণী এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদেরকেই ‘শী‘আ’ বলা হয় (আত-তারীখুল ইসলামী, পৃ. ২৭৪-২৭৭)। পরবর্তীতে শী‘আ ফিতনার বিকাশ হয়েছে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রু আব্দুল্লাহ ইবনু সাবা ইহুদী ও তার অনুসারী যুরারা, আবূ বাসীর, আব্দুল্লাহ ইবনু ই‘য়াফুর, আবূ মিখনাফ লূত ইবনু ইয়াহইয়া প্রমুখ মিথ্যাবাদীদের দ্বারা।

শী‘আরা মুসলিম নয়। কেননা বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর আক্বীদা ও আমলের কারণে তারা ইসলাম থেকে বহিস্কৃত। তারা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদত্ত বিধানকে বিকৃত করেছে। লক্ষ লক্ষ জাল হাদীছ তৈরি করে সুন্নাতকে হত্যা করেছে। আব্দুল করীম শহরাস্তানী (৪৭৯-৫৪৮ হি.) বলেন, ‘শী‘আদের দাবী সমূহ কুরআনের উপরও দলীল নির্ভর নয়, মুসলিমদের উপরও নয়। কারণ শী‘আরা মুসলিমদের অন্তর্ভুুক্ত নয়’ (আল-মিলাল ওয়ান নিহাল ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৮)। তাদের অন্য গ্রুপ রাফেযীরাও চরম মিথ্যাবাদী ফের্কা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবায়ে কেরাম এবং শরী‘আতের ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ মিথ্যাচার করেছে (মিনহাজুস সুন্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫)। তারা যে মুসলিম নয় সে সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে ইমাম ইবনু হাযম আন্দালুসী (৩৮৪-৪৫৬ হি.) বলেন, ‘রাফেযীদের দাবী সমূহের অন্যতম হল, কুরআনের ইবারতের পরিবর্তন। কারণ তারা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়; বরং তারা নতুন একটি ফের্কা। এটি এমন একটি দল যারা মিথ্যাচার ও কুফরীর দিক থেকে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের স্রোতে পরিচালিত হয়’ (আল-ফিছাল ফিল মিলাল ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫)। অতএব কোন মুসলিম ব্যক্তি শী‘আদের দলভুক্ত হতে পারে না। শী‘আদের কোন নীতি ও আদর্শকে সমর্থন করতে পারে না।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ ফারুক, নওদাপাড়া, রাজশাহী।




প্রশ্ন (৩০) : পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : শ্বশুর যদি কোন জিনিস ইচ্ছা করে দেয়, তাহলে সেটা নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ‘ছালাতুত তাসবীহ’ আদায় করা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ‘রাসূল (ﷺ)-এর আবির্ভাবের পূর্বে সমস্ত নবীর ক্বিবলাহ বাইতুল মাক্বদিছ ছিল’ এই কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মৃতের জন্য কুলখানি, চল্লিশা, মীলাদ ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক ব্যক্তি বলেছেন, মক্কা বিজয়ের আগে নবী করীম (ﷺ) নাকি মূর্তিকে সিজদা করতেন। কথা কি আদৌ সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : দোকানে বিড়ি-সিগারেট ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : প্রচলিত আছে যে, শিশুর বয়স ৫/৭ মাসে পড়লে কোন মসজিদে গিয়ে হুজুরের মাধ্যমে শিন্নি খাওয়াতে হবে এবং ঐ শিশুর সাথে আরেকটি শিশুর বন্ধু পাতাতে হবে। এমন প্রথা কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ‘একবার আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ইটের তৈরি একটি মিম্বারে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে খুত্ববাহ প্রদান করলেন। তাঁর সাথে একটা তলোয়ার ছিল, যার মাঝে একটি ছহীফা ঝুলছিল’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭৩০০)। উক্ত হাদীছে পাকা ইটের তৈরি মিম্বার বলতে আসলে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : যালেম বা অত্যাচারী ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ‘রাহে বেলায়েত’ নামক বইয়ের ৮৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে যে, বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়লে মুনাফিক হতে মুক্তি পাওয়া যায় (নাসাঈ ৬/২১০)। উক্ত বর্ণনা ছহীহ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : সিজদায় কুরআনে বর্ণিত কোন্ দু‘আ করা নিষেধ? কুরআনে বর্ণিত দু‘আ করার শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম’ পড়তে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ