উত্তর : ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের ফসল হিসাবে আলী এবং মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর মাঝে সংঘটিত যুদ্ধকে কেন্দ্র করে শী‘আ সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় আপোস করার জন্য যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানায়। ফলে মীমাংসার জন্য আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষে আবু মূসা আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আর মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষে আমর ইবনুল আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে শালিস নিযুক্ত করা হয়। এতে একশ্রেণীর লোক আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পক্ষ ত্যাগ করে। তারা ইতিহাসে ‘খারেজী’ বলে পরিচিত। আরেক শ্রেণী এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদেরকেই ‘শী‘আ’ বলা হয় (আত-তারীখুল ইসলামী, পৃ. ২৭৪-২৭৭)। পরবর্তীতে শী‘আ ফিতনার বিকাশ হয়েছে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রু আব্দুল্লাহ ইবনু সাবা ইহুদী ও তার অনুসারী যুরারা, আবূ বাসীর, আব্দুল্লাহ ইবনু ই‘য়াফুর, আবূ মিখনাফ লূত ইবনু ইয়াহইয়া প্রমুখ মিথ্যাবাদীদের দ্বারা।
শী‘আরা মুসলিম নয়। কেননা বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর আক্বীদা ও আমলের কারণে তারা ইসলাম থেকে বহিস্কৃত। তারা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদত্ত বিধানকে বিকৃত করেছে। লক্ষ লক্ষ জাল হাদীছ তৈরি করে সুন্নাতকে হত্যা করেছে। আব্দুল করীম শহরাস্তানী (৪৭৯-৫৪৮ হি.) বলেন, ‘শী‘আদের দাবী সমূহ কুরআনের উপরও দলীল নির্ভর নয়, মুসলিমদের উপরও নয়। কারণ শী‘আরা মুসলিমদের অন্তর্ভুুক্ত নয়’ (আল-মিলাল ওয়ান নিহাল ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৮)। তাদের অন্য গ্রুপ রাফেযীরাও চরম মিথ্যাবাদী ফের্কা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবায়ে কেরাম এবং শরী‘আতের ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ মিথ্যাচার করেছে (মিনহাজুস সুন্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫)। তারা যে মুসলিম নয় সে সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে ইমাম ইবনু হাযম আন্দালুসী (৩৮৪-৪৫৬ হি.) বলেন, ‘রাফেযীদের দাবী সমূহের অন্যতম হল, কুরআনের ইবারতের পরিবর্তন। কারণ তারা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়; বরং তারা নতুন একটি ফের্কা। এটি এমন একটি দল যারা মিথ্যাচার ও কুফরীর দিক থেকে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের স্রোতে পরিচালিত হয়’ (আল-ফিছাল ফিল মিলাল ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫)। অতএব কোন মুসলিম ব্যক্তি শী‘আদের দলভুক্ত হতে পারে না। শী‘আদের কোন নীতি ও আদর্শকে সমর্থন করতে পারে না।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ ফারুক, নওদাপাড়া, রাজশাহী।