শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
উত্তর : নেক সন্তান পাওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট বড় অনুগ্রহ। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা‘আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল’ (সূরা আশ-শু‘আরা: ৪৯ ও ৫০)। তাই সুসন্তান লাভের জন্য কয়েকটি আমল করা যায়-
(১) বেশি বেশি দু‘আ করা: (ক) ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ। যেমন رَبِّ ہَبۡ  لِیۡ  مِنَ  الصّٰلِحِیۡنَ ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সুসন্তান দান করুন’ (সূরা আছ-ছাফ্ফাত: ১০০)। এই দু‘আর ফলে মহান আল্লাহ তাঁকে ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-কে দান করেন। (খ) যাকারিয়া (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ। যেমন قَالَ رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ  الدُّعَآءِ ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আপনি আপনার নিকট থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (সূরা আলে ইমরান: ৩৮)। (গ) رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাক্বীদের জন্য অনুসরণযোগ্য’ (সূরা আল-ফুরক্বান: ৭৪)।

(২) বেশি বেশি তাওবাহ-ইস্তিগফার করা: ইস্তিগফার করলে আল্লাহ সন্তান ও প্রাচুর্য দান করেন। যেমন নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সুতরাং বলেছি, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। এবং তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা’ (সূরা আন-নূহ: ১০-১২)। (৩) সহবাসের সময় দু‘আ পড়াও সন্তান লাভের একটি সুন্দর আমল। আল্লাহ চাইলে সহবাসের সময় দু‘আ করার কারণে আপনার মনোবাসনা পূরণ হতে পারে। ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, নবী (ﷺ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গত হতে চাইলে সে বলবে,

بِاسْمِ اللهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদেরকে সহবাসের ফলে যে সন্তান দান করবেন তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন’। তারপর তাদের এ মিলনের মাঝে যদি কোন সন্তান নির্ধারিত থাকে তা হলে শয়তান এ সন্তানকে কক্ষনো ক্ষতি করতে পারবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩৮৮)।


প্রশ্নকারী : এ কে এম সাইফুল্লাহ সাইফ, মীরপুর, ঢাকা।





প্রশ্ন (২৭) : ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করার পরিণাম কী? ইয়াতীমের মাল দেখাশোনা বা ব্যবসায় খাটালে তা থেকে লভ্যাংশ নেয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ঘরে সূরা আল-বাক্বারাহ তেলাওয়াত করলে শয়তান বিতাড়িত হয়। এ কথা কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমানিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : কবরস্থানের ফাঁকা জায়গায় (যেখানে কবর নেই) জানাযার ছালাত পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ‘তোমরা তিনটি কারণে আরবকে ভালবাসবে। প্রথমত, আমি হলাম আরবী, দ্বিতীয়ত, কুরআন মাজীদের ভাষা হল আরবী এবং তৃতীয়ত, জান্নাতীদের ভাষাও হবে আরবী। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের পূর্বে দু’রাক‘আত সুন্নাত ছালাত ও বিতর ছালাত কখনো ছাড়তেন না। প্রশ্ন হল- যদি কেউ ছেড়ে দেন, তাহলে কি তিনি গুনাহাগার হবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : মুসলিম শাসকের আনুগত্য কতটুকু করতে হবে? মুসলিম শাসক যদি অন্যায় কাজ করে তার প্রতিবাদ কিভাবে করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জনৈক বক্তা বলেন, আশূরার দিনেই ক্বিয়ামত হবে। উক্ত দাবী কি  শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৮) : কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করলে বৈধ হবে কি? বিবাহ হয়ে থাকলে আবার বিয়ে পড়াতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : আহলে বাইত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ওহাবী কাদেরকে বলা হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : যে সমস্ত কারখানায় ইউরোপ আমেরিকার মেয়েদের টি-শার্ট, স্কার্ট, জিন্স প্যান্ট তৈরি করা হয়, সেগুলোতে চাকরি করা বৈধ হবে কি? এ সমস্ত পোশাকে মেয়েদের শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায়। অনেক পোশাকে প্রাণীর ছবিও থাকে।   - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ