উত্তর : নেক সন্তান পাওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট বড় অনুগ্রহ। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা‘আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল’ (সূরা আশ-শু‘আরা: ৪৯ ও ৫০)। তাই সুসন্তান লাভের জন্য কয়েকটি আমল করা যায়-
(১) বেশি বেশি দু‘আ করা: (ক) ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ। যেমন رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সুসন্তান দান করুন’ (সূরা আছ-ছাফ্ফাত: ১০০)। এই দু‘আর ফলে মহান আল্লাহ তাঁকে ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-কে দান করেন। (খ) যাকারিয়া (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ। যেমন قَالَ رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আপনি আপনার নিকট থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (সূরা আলে ইমরান: ৩৮)। (গ) رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাক্বীদের জন্য অনুসরণযোগ্য’ (সূরা আল-ফুরক্বান: ৭৪)।
(২) বেশি বেশি তাওবাহ-ইস্তিগফার করা: ইস্তিগফার করলে আল্লাহ সন্তান ও প্রাচুর্য দান করেন। যেমন নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সুতরাং বলেছি, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। এবং তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা’ (সূরা আন-নূহ: ১০-১২)। (৩) সহবাসের সময় দু‘আ পড়াও সন্তান লাভের একটি সুন্দর আমল। আল্লাহ চাইলে সহবাসের সময় দু‘আ করার কারণে আপনার মনোবাসনা পূরণ হতে পারে। ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, নবী (ﷺ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গত হতে চাইলে সে বলবে,
بِاسْمِ اللهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদেরকে সহবাসের ফলে যে সন্তান দান করবেন তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন’। তারপর তাদের এ মিলনের মাঝে যদি কোন সন্তান নির্ধারিত থাকে তা হলে শয়তান এ সন্তানকে কক্ষনো ক্ষতি করতে পারবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩৮৮)।
প্রশ্নকারী : এ কে এম সাইফুল্লাহ সাইফ, মীরপুর, ঢাকা।