মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
উত্তর : তালাক পতিত হবে। কেউ যদি তার স্ত্রীকে ফোনের মাধ্যমে বলে (أنْتِ طَالِقٌ) ‘তুমি ত্বালাক্বপ্রাপ্তা’ অথবা (طَلَّقْتُك) ‘আমি তোমাকে ত্বালাক্ব দিলাম’, তাহলে এক ত্বালাক্ব পতিত হবে। ত্বালাক্বের ক্ষেত্রে স্ত্রীর উপস্থিতি ও সম্মতি যরূরী নয়। স্বামী তার স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে ও অনুপস্থিতিতেও ত্বালাক্ব দিতে পারে। অতঃপর স্ত্রী সেই ত্বালাক্বে রাজি থাকুক বা না থাকুক, ত্বালাক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে (ফাতাওয়া লিক্বা আশ-শাহরী, লিক্বা নং-৫৫; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৮৫২০)। ফাতিমা বিনতু ক্বায়স (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيْلُهُ بِشَعِيْرٍ فَسَخِطَتْهُ فَقَالَ وَاللهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ.‏ فَجَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ‏ لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ‏ فَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِيْ بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ...

‘(তার স্বামী) আবূ আমর ইবনু হাফস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নিজের অনুপস্থিতিতেই তাকে বায়িন ত্বালাক্ব দেন। অতঃপর সামান্য পরিমাণ যবসহ উকীলকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে তিনি তার স্বামীর উপর ভীষণভাবে অসন্তুষ্ট হন। সে (উকীল) বলল, আল্লাহ্র কসম! তোমাকে (খোরপোষ স্বরূপে) কোন কিছু দেয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। তখন ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূল (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তার নিকট সব খুলে বললেন। (তার কথা শুনে) তিনি বললেন, তোমার জন্য তোমার স্বামী আবূ আমর ইবনু হাফস (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর দায়িত্বে কোন খোরপোষ নেই। অতঃপর তিনি তাকে উম্মু শারীক-এর গৃহে গিয়ে ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিলেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮০)। তবে ত্বালাক দেয়ার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হল, নিজের বাসগৃহে থাকাবস্থায় স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দেয়া। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘হে নবী! (আপনার উম্মতকে বলুন,) তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে ত্বালাক্ব দিতে ইচ্ছা কর, তখন তাদেরকে ত্বালাক্ব দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, আর ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বহিষ্কার কর না এবং তারা নিজেও যেন বের না হয়, যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। আর যে আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজের উপরই অত্যাচার করে। আপনি জানেন না, হয়তো আল্লাহ এর পর কোন উপায় করে দেবেন’ (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ১)।


প্রশ্নকারী : আহমাদ আলী, দুবাই।





প্রশ্ন (৩০) : পুরুষ লোকের দুই হাত ও দুই পায়ে মেহেদী দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : একাদশ-দ্বাদশ ও আলিম শ্রেণীর ‘সাহিত্যপাঠ’ বইয়ে কবি মীর মশাররফ হোসেনের রচিত ‘কারবালা প্রান্তর’ গদ্যাংশে রয়েছে, ‘হোসেনের অশ্ব প্রভুর হস্ত’। এমন কথা বিশ্বাস করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৬) : ঈদ মাঠে মিম্বার নিয়ে যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছুটে যাওয়া বিতর ছালাত সূর্য উঠার পর বা দিনের বেলায় পড়লে কিভাবে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : গুল ব্যবহার করলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে এক মহিলা গর্ভবতী হয় এবং অবৈধ বাচ্চা হয়, যার বাবার পরিচয় নেই। এদিকে অবৈধ সন্তান নাকি ইসলাম বিদ্বেষী হয়। আবার বাচ্চাকে হত্যা করাও যাবে না। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের রিংটোন হিসাবে দু‘আ বা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : জনৈক এক আলেম বলেছেন, দু‘আয়ে কুনুত ছাড়া বিতর ছালাত হবে না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? বিতর ছালাত দু‘আয়ে কুনুত ছাড়া শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক বক্তা বলেন, ‘যে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছে, সে শহীদ হয়ে মারা গেছে। তাকে কবরের আযাব দেয়া হবে না এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাকে জান্নাতের রিযিক দেয়া হবে’। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। উক্ত গাছের ফল খাওয়া হালাল হবে কি? উল্লেখ্য, ফল কে নিয়েছে বা কে খেয়েছে কর্তৃপক্ষ কোন খবর নেয় না। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক মুফতি বলেন, যে নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। অন্যথা কুরবানী করা লাগবে না। এর অর্থ হল, তার কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা তার সমপরিমাণ জমানো টাকা থাকা লাগবে। এই ফৎওয়া অনুযায়ী অনেকেই তো কুরবানী করা থেকে বঞ্চিত হবে। উক্ত ফৎওয়া কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ