বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : তালাক পতিত হবে। কেউ যদি তার স্ত্রীকে ফোনের মাধ্যমে বলে (أنْتِ طَالِقٌ) ‘তুমি ত্বালাক্বপ্রাপ্তা’ অথবা (طَلَّقْتُك) ‘আমি তোমাকে ত্বালাক্ব দিলাম’, তাহলে এক ত্বালাক্ব পতিত হবে। ত্বালাক্বের ক্ষেত্রে স্ত্রীর উপস্থিতি ও সম্মতি যরূরী নয়। স্বামী তার স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে ও অনুপস্থিতিতেও ত্বালাক্ব দিতে পারে। অতঃপর স্ত্রী সেই ত্বালাক্বে রাজি থাকুক বা না থাকুক, ত্বালাক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে (ফাতাওয়া লিক্বা আশ-শাহরী, লিক্বা নং-৫৫; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৮৫২০)। ফাতিমা বিনতু ক্বায়স (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيْلُهُ بِشَعِيْرٍ فَسَخِطَتْهُ فَقَالَ وَاللهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ.‏ فَجَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ‏ لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ‏ فَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِيْ بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ...

‘(তার স্বামী) আবূ আমর ইবনু হাফস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নিজের অনুপস্থিতিতেই তাকে বায়িন ত্বালাক্ব দেন। অতঃপর সামান্য পরিমাণ যবসহ উকীলকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে তিনি তার স্বামীর উপর ভীষণভাবে অসন্তুষ্ট হন। সে (উকীল) বলল, আল্লাহ্র কসম! তোমাকে (খোরপোষ স্বরূপে) কোন কিছু দেয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। তখন ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূল (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তার নিকট সব খুলে বললেন। (তার কথা শুনে) তিনি বললেন, তোমার জন্য তোমার স্বামী আবূ আমর ইবনু হাফস (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর দায়িত্বে কোন খোরপোষ নেই। অতঃপর তিনি তাকে উম্মু শারীক-এর গৃহে গিয়ে ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিলেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮০)। তবে ত্বালাক দেয়ার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হল, নিজের বাসগৃহে থাকাবস্থায় স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দেয়া। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘হে নবী! (আপনার উম্মতকে বলুন,) তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে ত্বালাক্ব দিতে ইচ্ছা কর, তখন তাদেরকে ত্বালাক্ব দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, আর ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বহিষ্কার কর না এবং তারা নিজেও যেন বের না হয়, যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। আর যে আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজের উপরই অত্যাচার করে। আপনি জানেন না, হয়তো আল্লাহ এর পর কোন উপায় করে দেবেন’ (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ১)।


প্রশ্নকারী : আহমাদ আলী, দুবাই।





প্রশ্ন (১৫) : হাত তুলে দু‘আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠ করার কথা হাদীছে আছে। এক্ষণে কী বাক্য দ্বারা হামদ ও দরূদ পাঠ করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : জনৈক বক্তা বলেন, মসজিদের ইমাম তার মসজিদের আশেপাশের চল্লিশ ঘর লোকের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে এবং তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা হজ্জ করতে যেতে পারবে কি? বুদ্ধিমান বালক কি মাহরাম হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ‘যারা এই দুনিয়ায় অন্ধ তারা আখেরাতেও অন্ধ থাকবে’ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : আক্বীদা, আচরণ ও আমলের ক্ষেত্রে তাওহীদের হাক্বীক্বাত বা প্রকৃতি জানার উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ‘মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদে আক্বছা ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে ই‘তিকাফ করা যাবে না। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক বক্তা বলেন, যে বান্দা রামাযানের ছিয়াম পালন করে তার সাথে প্রত্যেক দিন তাঁবুতে সুরক্ষিত হুরদের মধ্য হতে একজনকে বিবাহ দিয়ে দেন। প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে ৭০টি দামী কাপড় থাকবে। প্রত্যেকটির রং হবে পৃথক পৃথক। তাকে ৭০ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত রং দেয়া হবে। এক রঙের সাথে অন্য রঙ মিলবে না। প্রত্যেকেই বসে থাকবে হীরার খাটে, যাতে মুক্তা দ্বারা বিন্যস্ত করা থাকবে ৭০টি বিছানা, যার আস্তর থাকবে রেশমের। ৭০টি বিছানার উপর থাকবে ৭০টি পালঙ্ক। প্রত্যের স্ত্রীর জন্য থাকবে ৭০ জন্য সেবিকা, যারা তার সেবা করবে। আর ৭০ জন সেবিকা থাকবে তার সাথে মুলাক্বাতের জন্য। আর প্রত্যেক সহচরের সাথে থাকবে অনেক সম্ভ্রান্ত সাথী। জান্নাতে স্বর্ণের পাত্র থাকবে তাতে বিভিন্ন রঙের খাবার থাকবে। প্রথম যে স্বাদ পাওয়া যাবে শেষেও সে স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তার স্বামীকেও অনুরূপ লাল হীরার খাট দেয়া হবে, যার উপর দু’টি স্বর্ণের বালা থাকবে, যা বিন্যস্ত থাকবে লাল হীরা দ্বারা। এটা রামাযানের প্রত্যেক দিন ছিয়াম পালনকারীর জন্য, অন্য নেক আমলের জন্য নয় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৬৭)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহিলারা ওয়াজ শুনতে পারবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক আলেম রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাম শুনে দরূদ পাঠ না করাকে কৃপণতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ফরয ছালাতের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : ফিতরার পরিমাণ কতটুকু? অর্ধ ছা‘ ফিতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ