সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
উত্তর : কোন ব্যক্তি মাদক বা নেশা দ্রব্য সেবন করে মাতাল বা নেশাগ্রস্ত হলে আল্লাহ তা‘আলা তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল করবেন না-এ কথা ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

مَنْ شَرِبَ الْـخَمْرَ وَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا وَإِنْ مَاتَ دَخَلَ النَّارَ فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ وَإِنْ عَادَ فَشَرِبَ فَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا فَإِنْ مَاتَ دَخَـلَ النَّارَ فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ وَإِنْ عَادَ فَشَرِبَ فَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا فَإِنْ مَاتَ دَخَلَ النَّارَ فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ وَإِنْ عَادَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يَّسْقِيَهُ مِنْ رَدْغَةِ الْخَبَالِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَمَا رَدْغَةُ الْـخَبَالِ؟ قَالَ عُصَارَةُ أَهْلِ النَّارِ

‘কেউ মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তবে যদি সে তওবা করে নেয় তা হলে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন। এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তাহলে আবারও তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অবশ্য যদি সে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন। এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তাহলে আবারও তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কিন্তু যদি সে তওবা করে নেয় তাহলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তখন আল্লাহর হক হয়ে যায়, ক্বিয়ামতের দিন তাকে ‘রাদগাতুল খাবাল’ পান করানো। ছাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! ‘রাদগাতুল খাবাল’ কী? তিনি বললেন, জাহান্নামীদের পুঁজ’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৭৩৮; ছহীহুল জামে‘, হা/৬৩১৩)। আবূ আব্দিল্লাহ ইবনু মানদাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

لا يثاب على صلاته أربعين يوماً عقوبة لشربه الخمر كما قالوا في المتكلم يوم الجمعة والإمام يخطب إنه يصلي الجمعة ولا جمعة له يعنون أنه لا يعطى ثواب الجمعة عقوبة لذنبه

‘চল্লিশ দিন ছালাত কবুল হবে না’-এর অর্থ হল, মদপানের শাস্তি হিসাবে চল্লিশ দিনের ছালাতের ছাওয়াব পাবে না। যেমন ফক্বীহগণ বলেছেন, জুমু‘আর দিন খুত্ববাহ চলাকালীন যদি কেউ কথা বলে সে জুমু‘আহ পড়বে কিন্তু তার জুমু‘আহ হবে না। অর্থাৎ তার এই অপরাধের কারণে তাকে জুমু‘আর ছালাতের ছওয়াব প্রদান করা হবে না’ (তা‘যীম কাদরিছ ছালাত, ২/৫৮৭ ও ৫৮৮)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

وَأَمَّا عَدَم قَبُول صَلاته فَمَعْنَاهُ أَنَّهُ لا ثَوَاب لَهُ فِيهَا وَإِنْ كَانَتْ مُجْزِئَة فِي سُقُوط الْفَرْض عَنْهُ وَلا يَحْتَاج مَعَهَا إِلَى إِعَادَة

‘আর ছালাত কবুল না হওয়ার অর্থ হল, এতে তার ছাওয়াব হবে না। যদিও ফরয আদায়ের জন্য তা যথেষ্ট হবে এবং তা পুনরায় আদায় করার প্রয়োজন নেই’ (শরহুন ছহীহ মুসলিম, ১৪/২২৭ পৃ.)।

তবে এ কারণে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে এমন কথা হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত নয়। এছাড়া পুরোটা সময় শরীর নাপাক থাকলে এ অবস্থায় তার জন্য ছালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন স্পর্শ, কা‘বা ঘরের ত্বাওয়াফ ইত্যাদি জায়েয হত না। অথচ শরী‘আতের দৃষ্টিতে এ সকল ইবাদত করতে তার কোন বাধা নেই।

প্রশ্নকারী : আব্দুর রহীম, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (১৭) : মক্কায় একদিনের ছিয়াম বাইরের এক লক্ষ ছিয়ামের সমতুল্য। সেখানে এক দেরহাম খরচ করলে এক লক্ষ দেরহামের সমান এবং একটি নেকী করলে এক লক্ষ নেকীর সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাদীছে মসজিদে নববীর ছওয়াব সমজিদে আক্বছার চেয়ে অধিক এসেছে। অথচ এখানে উভয় মসজিদের ছওয়াব পঞ্চাশ হাজার বলা হয়েছে। এর অর্থ করা হয়েছে, প্রত্যেক মসজিদের ছওয়াব পূর্ববর্তী মসজিদ হিসাবে বলা হইয়াছে অর্থাৎ জামে মসজিদের ছওয়াব পাঁচশ’ ছালাত নয়, বরং মহল্লার মসজিদ হতে পাঁচশ’ গুণ বেশী। এই হিসাব মতে জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০) (ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ. ৯২)। তাবলীগী নিসাবের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ কিতাবে বর্ণিত উক্ত ফযীলত কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ‘আমি তখনও ছিলাম নবী; আদম (আলাইহিস সালাম) যখন রূহ এবং দেহের মধ্যে ছিলেন’ (আহমাদ, হা/১৭১৬৩; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩৭৩) মর্মে হাদীছটি কি ছহীহ? এই হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : কোন মুসলিমকে কাফের বলার জন্য কোন শর্ত আছে কী? তাকফীরের মূলনীতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘ইয়া মুহাম্মদ! শাফা‘আত (চাই)’। এ কথাটি কি শিরক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : বাচ্চাদের পেশাব করা কাপড় দিয়ে কি ছালাত আদায় করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের নিয়ম জানতে চাই? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : জনৈক খত্বীব বলেন, পাঁচটি রাতের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। রজবের প্রথম রাত্রি, শা‘বানের মধ্য রাত্রি, জুমু‘আর রাত্রি, ঈদুল ফিতরের রাত্রি এবং ঈদুল আযহার রাত্রি (ইবনু আসাকির, তারীখে দিমাষ্ক ১০/২৭৫ পৃঃ)। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : দলবদ্ধ মুনাজাত করার পক্ষে জনৈক আলেম নিম্নের হাদীছটি পেশ করে থাকেন- কিছু লোক একত্রিত হয়ে তার মধ্যে কেউ কেউ দু‘আ করলে আর কেউ কেউ আমীন আমীন বললে, আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেন। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে দুই বোনের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ এক বোনের ছেলেরা তার মাকে তাদের খালার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা আবার সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু সমস্যা হল- অন্য বোনের মেয়েরা তার মাকে বলছে যে, খালা তার ছেলেদের কথায় আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখেননি এখন তুমিও খালার সাথে সম্পর্ক রাখবে না। কিন্তু তিনি তার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছেন না। তখন তার মেয়েরা বলছে, হয় খালার সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে, না হয় মেয়েদের সাথে। এই বলে মেয়েরা মায়ের উপর রাগ করে দীর্ঘদিন কথা বলে না। প্রশ্ন হল- মেয়েরা কী ধরনের গুনাহ করছে? এই ক্ষেত্রে মায়ের করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মীমাংসামূলক ছালাতের  বিশুদ্ধ আাছে কি? সেটা হচ্ছে: দুই রাক‘আত ছালাত পড়া। প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পড়া এবং সাতবার ‘সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমাদের শত্রুতা আছে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবকিছই করতে সক্ষম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ আয়াতটি পড়া। ছালাত শেষ করার পর এই দু‘আ করা, ‘হে আল্লাহ! অমুকের ছেলে অমুকের (স্বামীর নাম) অন্তর অমুকের মেয়ে অমুকের (স্ত্রীর নাম) উপর কোমল করে দিন; যেভাবে আপনি দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এর জন্য লোহাকে কোমল করে দিয়েছেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জুমু‘আর দিনে খত্বীব মহোদয়ের তাহিয়াতুল মসজিদ এর ছালাত আদায় করা লাগবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): দাহিয়াতু কালবীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে ও পরে মেয়ে সন্তান কতজন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ