সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
উত্তর : মূলত এই ঘটনার কোন সনদ বা প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এটি বর্তমান যুগের কিছু দাঈ বা ধর্মপ্রচারকের মুখ থেকেই জানা যায় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৫৯০৮১)। এটি আহলে বাইত বা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিবারের প্রতি ভালোবাসার মিথ্যা দাবীদার শী‘আ সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আক্বীদার বিষফল। যারা আহলে বাইতের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে সর্বাধিক সীমালঙ্ঘন করেছে।

আল্লাহ তা‘আলাকে প্রশ্ন করার ও তাঁর কাছ থেকে জবাব চাওয়ার অধিকার কারোর আছে কি?! আল্লাহ তা‘আলা কি কাউকে জবাব দিতে বাধ্য? আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে ভেবেচিন্তে কথা বলা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর অপরিহার্য। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেননি বা প্রচার নির্দেশনা দেননি, তা যদি কেউ বলে বা প্রচার করে, তাহলে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশতঃ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৪৪, ২১, ৯৩)। মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, مَنْ حَدَّثَ عَنِّيْ حَدِيْثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِيْنَ ‘আমার পক্ষ হতে যে লোক কোন হাদীছ বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, তাহলে সে মিথ্যুকদের একজন’ (তিরমিযী, হা/২৬৬২; মুসলিম মুক্বাদামাহ্, ইবনু মাজাহ, হা/৪১)। সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করে যা আমি বলিনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১০৯, ১০৬)।


প্রশ্নকারী : সুমন, ঢাকা।





প্রশ্ন (১৯) : তায়াম্মুমের নিয়ত করার ব্যাপারে ইমামগণ কেমন মতামত ব্যক্ত করেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জনৈক বক্তা বলেন, রাসূল (ﷺ) নবজাতক অবস্থায় একদিন তাঁর মা বাড়ীর আঙ্গিনায় শুইয়ে রেখেছিলেন। অন্যদিকে তাঁর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তিকাল করাই মা আমিনার মন খারাপ ছিল। এমতাবস্থায় চাচা আবূ তালিব বলেন, আমি ঐ অবস্থায় লক্ষ্য করলাম যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) যখন তার হাত ডানদিকে নিচ্ছে তখন চন্দ্র ডান দিকে যাচ্ছে, আর যখন হাত বাম দিকে যাচ্ছে তখন চন্দ্র বাম দিকে যাচ্ছে। আর যখন উভয় হাত নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে, তখন চন্দ্রও তাঁর নিকটবর্তী হচ্ছে। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর চাচা আবূ তালিব এ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, জন্মের পূর্বে আমার পিতা মারা যাওয়ায় আমার মায়ের মন খারাপ ছিল। তাই ঐ সময়ের জন্য আল্লাহ তা‘আলা চন্দ্রকে আমার খেলনাস্বরূপ বানিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমার আনন্দের কোন ঘাটতি না পড়ে’। উক্ত ঘটনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : আমলে ছালেহ বলতে কোন্ কোন্ আমলকে বোঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : যে ব্যক্তি রাসূলের উপর দরূদ পাঠ করতে ভুলে যাবে, সে জান্নাতের পথ ভুলে যাবে’। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : সেলুনে কাজ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : আলেম বা সম্মানী ব্যক্তিদের হাতে চুম্বন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : খাৎনা করার সময় মুখে মিষ্টি দেয়া হয়, অনুষ্ঠান করা, গানবাজনা করা এবং গোসল দেয়ার সময় বিভিন্ন নিয়ম পালন করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : মাওলানা আবদুল মতীন বিন হুসাইন প্রণীত ‘জান্নাতের দুই রাস্তা : তাকওয়া ও তওবা’ শীর্ষক বইয়ে ‘আওলিয়াগণ আল্লাহপাকের ‘শানে-মাগফেরাত’-এর তাজাল্লীগাহ’ আলোচনায় বলা হয়েছে, আল্লাহওয়ালারা আল্লাহপাকের ‘ছিফাত‘-এর মাযহার’ তথা আল্লাহপাকের গুণাবলীর প্রকাশস্থল। এই কথার ভেতরে কি শিরক আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : পরিবারের একজন কুরবানী করলে সবার পক্ষ থেকে তা হয়ে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : সাত আসমানে সাতজন মুহাম্মাদ (ﷺ) আছেন। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে কতজন নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক মেশিনের মাধ্যমে কুরবানী পশু যব্হ করা যাবে কি? কেউ যদি এমনভাবে কুরবানী দেয়, তবে উক্ত গোশত খাওয়া হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ