উত্তর : মূলত এই ঘটনার কোন সনদ বা প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এটি বর্তমান যুগের কিছু দাঈ বা ধর্মপ্রচারকের মুখ থেকেই জানা যায় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৫৯০৮১)। এটি আহলে বাইত বা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিবারের প্রতি ভালোবাসার মিথ্যা দাবীদার শী‘আ সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আক্বীদার বিষফল। যারা আহলে বাইতের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে সর্বাধিক সীমালঙ্ঘন করেছে।
আল্লাহ তা‘আলাকে প্রশ্ন করার ও তাঁর কাছ থেকে জবাব চাওয়ার অধিকার কারোর আছে কি?! আল্লাহ তা‘আলা কি কাউকে জবাব দিতে বাধ্য? আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে ভেবেচিন্তে কথা বলা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর অপরিহার্য। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেননি বা প্রচার নির্দেশনা দেননি, তা যদি কেউ বলে বা প্রচার করে, তাহলে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশতঃ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৪৪, ২১, ৯৩)। মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, مَنْ حَدَّثَ عَنِّيْ حَدِيْثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِيْنَ ‘আমার পক্ষ হতে যে লোক কোন হাদীছ বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, তাহলে সে মিথ্যুকদের একজন’ (তিরমিযী, হা/২৬৬২; মুসলিম মুক্বাদামাহ্, ইবনু মাজাহ, হা/৪১)। সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করে যা আমি বলিনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১০৯, ১০৬)।
প্রশ্নকারী : সুমন, ঢাকা।