উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে ব্যবসা করা যাবে। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একবার আনছারগণ নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আমাদের খেজুর বাগানগুলো আমাদের ও আমাদের মুহাজির ভাইদের মধ্যে ভাগ করে দিন। তিনি বললেন, না; আমাদের জন্য তোমাদের পক্ষ হতে এটাই যথেষ্ট যে, তোমরা বাগানের তত্ত্বাবধানে কষ্ট স্বীকার কর, আমরা তোমাদেরকে ফলে শরীক করব। তাঁরা বললেন, আমরা এটা শুনলাম ও মানলাম (ছহীহ বুখারী, হা/২৩২৫; মিশকাত, হা/২৯৩১)। ছহীহ বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারকে ইহুদীদের দিয়েছিলেন। তারা তাতে পরিশ্রম করবে ও শস্য ফলাবে এবং সেখানে যা উৎপাদিত হবে, তারা তার অর্ধেক পাবে (ছহীহ বুখারী, হা/২২৮৫)। তবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যে, শরীকানার উক্ত মূলধন দ্বারা অবশ্যই যেন ব্যবসা হয়। নতুবা টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা সূদ হিসাবে পরিগণিত হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৮৪; মিশকাত, হা/২৮০৯)। উল্লেখ্য, উক্ত ব্যবসা যেন হালাল উপায়ে হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা হারাম কোন জিনিস কবুল করেন না (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫; মিশকাত, হা/২৭৬০)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মানিক, টাটা মোটরস, যশোর।