উত্তর : মসজিদের জন্য শর্ত হল, সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া। তাই দ্রুত ওয়াকফ করে দেয়া উচিত। এক্ষণে যারা দাতা তারা যদি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাহলে সেখানে ছালাত হবে না। কারণ দান করার পর যদি বলে আমি মসজিদ তৈরি করেছি বা আমার মসজিদ এমন কথা বললে এ ধরণের মসজিদে ছালাত আদায় না করাই উত্তম। মূল বিষয় হল জমির দলীল হতে হবে, বিশেষ করে জুমু‘আর ছালাত আদায় করতে হলে মসজিদের নামে রেজিস্ট্রি হতে হবে এবং মালিকানামুক্ত হতে হবে। কারণ অনেকে মসজিদ তৈরি করে দেয়ার পরও তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি খাটাতে চাই আবার অনেক সময় গর্ব করে বলতে থাকে যে, এটা আমি বা আমরা তৈরি করেছি।
যেহেতু জোরপূর্বক দখলকৃত জমির উপর নির্মিত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে না। এমনকি গণ্ডগোলের জমি বলা হয় এমন মসজিদেও ছালাত আদায় করা যাবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৯৮)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বিদ্বানগণের ঐকমত্যে এ ধরণের মসজিদের ছালাত আদায় করা হারাম’ (আল-মুহায্যাব, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬৩-৬৪; শাবাকাতুল ইসলামিয়্যাহ, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪৭৭৮, ফৎওয়া নং-৭২৯৬)। তাই এগুলো থেকে মুক্ত থাকার জন্যই মসজিদের জমি ওয়াক্ফ করা আবশ্যক। ওয়াকফের জন্য প্রক্রিয়াধীন মসজিদে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই।
প্রশ্নকারী : সাদ্দাম হোসেন, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।