উত্তর : এর কোন প্রমাণ নেই। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতকে নকল করে অনেকেই বিদ‘আতকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করেছে। তবে অসংখ্য আলেম বলেছেন যে, ‘প্রত্যেকটা বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা এবং এর কোন প্রকার নেই’। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) খুত্ববাহ দেয়ার সময় বলতেন,
أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الْأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
‘অতঃপর উত্তম বাণী হল, আল্লাহর কিতাব এবং উত্তম পথ হল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রদর্শিত পথ। অতীব নিকৃষ্ট বিষয় হল (ধর্মের মধ্যে) নতুন উদ্ভাবন (বিদ‘আত) করা এবং প্রত্যেকটি বিদ‘আদ ভ্রষ্ট’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৭)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা (দ্বীনের মধ্যে) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত বিষয় বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আত ভ্রষ্টতা’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭)। এই অর্থের আরো অসংখ্য হাদীছ বিভিন্ন রাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এটিই সঠিক যে, ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বা অন্যদের মত বিদ‘আতকে বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যাবে না। কারণ এর সবটাই গোমরাহী (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাত ইবনে বায, ৫/১৭৮; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২/৪৬৫-৪৬৬ পৃ.)। ইমাম ছান‘আনী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ليس في البدعة ما يمدح بل كل بدعة ضلالة ‘বিদ‘আতের মধ্যে প্রশংসা করার যোগ্য কিছুই নেই, বরং এর সবটাই গোমরাহী’ (সুবুলুস সালাম, ২/১০ পৃ.)। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী, ইমাম শাওকানী ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুমুল্লাহ) একই কথা বলেছেন (ফাৎহুল বারী, ১৩/২৫৪; নাইনুল আওতার, ২/৭০; তাফসীরে কুরতুবী, ২/৮৭ পৃ.)। তবে খারাপের ধরন হিসাবে উলামায়ে কেরাম কয়েক প্রকার করেছেন। যেমন কিছু বিদ‘আত আছে যা করলে কাফের হয়ে যাবে। কিছু বিদ‘আত আছে যা করলে কাবীরা গোনাহ হবে। কিছু আছে যা করলে ফাসিক হবে।
প্রশ্নকারী : তাজবির উল হক, চকবাজার, চট্টগ্রাম।