উত্তর : পিতা তার এই সন্তানের দায় এড়াতে পারবে না। এই পাপের ভাগ তাকেও বহন করতে হবে। এই সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَاۤ اَمۡوَالُکُمۡ وَ اَوۡلَادُکُمۡ فِتۡنَۃٌ ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗۤ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ ‘আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো এক পরীক্ষা। আর নিশ্চয় আল্লাহ তাঁরই কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার’ (সূরা আল-আনফাল : ২৮)। আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হবে। যেমন- জনগণের শাসক তাদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবার পরিজনদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী স্বামীর ঘরের এবং তার সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। আর ক্রীতদাস আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। কাজেই সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। শোন! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই আপন অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে (ছহীহ বুখারী, হা/২৫৫৪)।
অতএব সন্তান প্রতিপালনে সজাগ থাকতে হবে এবং ছোট থেকেই ইসলামী অনুশাসনের মধ্যে তাকে রাখতে হবে। অধিকাংশ অভিভাবক এ ব্যাপরে উদাসীন।
প্রশ্নকারী : সাকিব আহমাদ, রাজশাহী।