উত্তর : সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী ওযূর ফরয ছয়টি (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩/২৯৪ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ১১/১৪২ পৃ.)। যথা :-
(১) ‘সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ভালভাবে ধৌত করা (কুলি করা, নাকে পানি দেয়া, ঝাড়া, দাড়ি খিলালসহ (শারহু মা‘আনিল আছার, ১/৩৩ পৃ.; আল-হাবিউল কাবীর, ১/১০৭; বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১/১১; আল-মুগনী, ১/৮৫ পৃ.; আল-মাজমূঊ, ১/৩৭১ পৃ.)।
(২) হস্তদ্বয় কনুই পর্যন্ত ধৌত করা (আল-উম্ম, ১/৪০-৪১; শারহু মা‘আনিল আছার, ১/৩৩)।
(৩) (সিক্ত হস্তে) কানসহ মাথা মাসাহ করা (আল-হাবিউল কাবীর, ১/১১৪; আল-মুগনী, ১/৯২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৮৩)।
(৪) দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করা (আন-নিহায়াহ, ৪/১৭৮; আল-মুহাল্লা, ১/৩০১)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা ছালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও...’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৬)।
(৫) তারতীব (التَّرتيب) ‘ক্রমধারা বা ধারাবাহিকতা’। অর্থাৎ কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে ধারাবাহিকভাবে পরস্পর ওযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ধৌত করা (আশ-শারহুল মুমতি‘, ১/১৮৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ১১/১৪১)।
(৬) মুওয়ালাত (مُوَالَاة) অর্থাৎ ওযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো অবিচ্ছিন্ন বা বিরতিহীনভাবে ধৌত করা, যাতে পরের অঙ্গ ধৌত করতে প্রথমটি শুকিয়ে না যায় (কুয়েতী ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ৪৩/৩৫৫; আশ-শারহুল মুমতি‘, ১/১৯২; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩/২৯৪; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ১১/১৪২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আলাউদ্দীন, মোহনপুর, রাজশাহী।