বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন
উত্তর : ছিয়াম ভঙ্গকারী কারণগুলো নির্ধারিত। কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহতে স্পষ্টভাবে সেগুলো উদ্ধৃত হয়েছে। আর সেগুলো হল- সহবাস, পানাহার, কিংবা যা কিছু সহবাস বা পানাহারের স্থলাভিষিক্ত হবে। যেমন স্যালাইন ইনজেকশন, হস্তমৈথুন, শিঙ্গা লাগানো, ইচ্ছাকৃত বমি করা ও হায়িয (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৮০২৩)। ছিয়াম ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন ও বেপর্দার মধ্যে পার্থক্য হল- হস্তমৈথুন সত্তাগতভাবে ছিয়াম ভঙ্গকারী ও ছিয়ামের সাথে সাংঘর্ষিক। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহ‌ তা‘আলা বলেন, ‘ছিয়াম আমারই জন্য। আমিই এর পূর্ণাঙ্গ প্রতিদান দেব। বান্দা আমার জন্য পানাহার ও যৌনসুখ বর্জন করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৮৯৪, ৭৪৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫১)। নিঃসন্দেহে হস্তমৈথুন যৌনসুখের অন্তর্ভুক্ত, তাই সেটি সহবাস ও পানাহারের ন্যায় ছিয়াম ভঙ্গকারী। ইবনু হাজার হাইছামী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, الإستمناء مفطر بعينه ‘হস্তমৈথুন নিজেই ছিয়ামভঙ্গকারী’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুবরা, ২/৭৩ পৃ.)।

শায়খ মুহাম্মাদ মুখতার আশ-শানক্বিত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যৌনসুখ’ শব্দটিকে আল্লাহ তা‘আলা এখানে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। ফলে মুখ্য যৌনসুখ, যা সহবাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় সেটি যেমন এর অন্তর্ভুক্ত, ঠিক তেমনি যে যৌনসুখ হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অর্জিত হয় সেটিও এর অন্তর্ভুক্ত। যখন সে বীর্যপাত করে তখন তার যৌনসুখ লাভ হয়। এটিই হচ্ছে প্রধান যৌনসুখ। এ দিক থেকে সে ছিয়াম ভঙ্গকারী হিসাবে গণ্য হয়। কারণ ছিয়াম পালনকারী তার যৌনসুখকে ত্যাগ করে। সুতরাং যে ব্যক্তি হস্তমৈথুন করল সে তো আর যৌনসুখকে ত্যাগ করল না’ (শারহু যাদিল মুস্তাক্বনি‘, ৪/১০৪ পৃ.; ‘আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ, ৪/১০০ পৃ.)। পক্ষান্তরে বেপর্দা হওয়া ছিয়াম ভঙ্গকারী নয়। বরং তা গীবত, মিথ্যা ইত্যাদি গুনাহসমূহের মত একটি গুনাহ। যেগুলোর কারণে ছিয়ামের ছাওয়াব কমে যায়, কিন্তু ছিয়াম ভেঙ্গে যায় না। কখনও কখনও এত বেশি গুনাহ করা হয় যে, ছিয়ামের সম্পূর্ণ ছাওয়াব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ছিয়ামকে নষ্ট করে না। বরং গুনাহ সত্ত্বেও তার ছিয়াম হয়ে যায় এবং ছিয়াম পালনকারী অপরিহার্যের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং তাকে ক্বাযা করতে হবে না (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৩২৩৫২)।

প্রশ্নকারী : শিহাব, মাদারীপুর।





প্রশ্ন (৫) : কোন্ কোন্ রক্ত বের হলে ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : প্রচলিত আছে যে, মাগরিবের আযানের সময় শুয়ে থাকা যাবে না। এর কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : মোবাইলের রিংটোন হিসাবে দু‘আ বা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : বক্তব্য বা কথা-বার্তা শেষ করার শারঈ পদ্ধতি কী? যেমন কারো সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে শুরু করা হয়। কিন্তু শেষ করার সময় কী বলতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জানাযার ছালাতে ছুটে যাওয়া তাকবীরগুলো কীভাবে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ‘জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে হলেও তোমরা যাও’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহর কাছে মাছির ডানা সমতুল্য নয়, তাহলে আল্লাহর  শাস্তি এত কঠোর কেন? মাথায় এমন প্রশ্ন আসলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মেয়েদের ক্ষেত্রে আপন দাদার আপন ভাই ও ছেলেদেরে ক্ষেত্রে আপন দাদার আপন বোন কি মাহরাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : জান্নাতের হূরগণ বলবে, نَحْنُ الْخَالِدَاتُ فَلَا نَبِيْدُ وَنَحْنُ النَّاعِمَاتُ فَلَا نَبْأَسُ وَنَحْنُ الرَّاضِيَاتُ فَلَا نَسْخَطُ طُوْبَى لِمَنْ كَانَ لَنَا وَكُنَّا لَهُ ‘আমরা চিরদিন থাকব, কখনও ধ্বংস হব না। আমরা হামেশা সুখে-সানন্দে থাকব, কখনও দুঃখ-দুশ্চিন্তায় পতিত হবে না। আমরা সর্বদা সন্তুষ্ট থাকব, কখনও নাখোশ হব না। সুতরাং তাকে ধন্যবাদ, যার জন্য আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি’ (তিরমিযী, হা/২৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৬৪৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৪০৭, ১০/১৫০ পৃ.) মর্মে বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : বিধবা অথবা তালাক্বপ্রাপ্ত মেয়ে পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া বিবাহ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : অমুসলিম পুরুষের সাথে মুসলিম নারীর বিবাহ কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কোন মুসাফির ব্যক্তির এমন হতে পারে যে, তার ছিয়াম পালন অবস্থায় বিমান উড্ডয়নের পূর্বে সূর্য অস্ত গেল। ফলে সে ইফতার করল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের পরে সে সূর্য দেখতে পেল। এমতাবস্থায় তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ