দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ
তেলাওয়াতে সিজদার দু‘আ
سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ
উচ্চারণ : সাজাদা ওজহিয়া লিল্লাযী খলাক্বাহু ওয়া শাক্বক্বা সাম‘আহু ওয়া বাছারহু বিহাওলিহী ওয়া কুওয়াতিহী।
অর্থ : ‘আমার চেহারা সিজদা করছে সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় ক্ষমতা ও শক্তি বলে এতে কর্ণ ও চক্ষু সন্নিবেশ করেছেন’ (আবূ দাঊদ, হা/১৪১৪; তিরমিযী, হা/৩৪২৫; মিশকাত, হা/১০৩৫)।
কুরআন তেলাওয়াতের পর দু‘আ
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন মজলিস ও কুরআন তেলাওয়াত শেষ করতেন, তখন নিম্নোক্ত দু‘আ দ্বারা শেষ করতেন-
سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لَا إِلَهَ إِلَّاأَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ.
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা ওয়া বিহাম্দিকা লা ইলা-হা ইল্লা আংতা আস্তাগ্ফিরুকা ওয়া আতূবু ইলায়কা।
অর্থ : ‘পবিত্রতা সহ আপনার প্রশংসা বর্ণনা করছি। আপনি ছাড়া সত্য কোন ইলাহ নেই। আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করছি’ (ইমাম নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হা/৩০৮, দ্রঃ নাসাঈ, (বৈরুত : দারুল মা‘আরিফাহ ১৯৯৭), হা/১৩৪৩-এর টীকা দ্রঃ, পৃ. ৩য় খ-, পৃ. ৮১)। যেমন হাদীছে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ مَا جَلَسَ رَسْوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَجْلِسًا قَطُّ وَلَا تَلَا قُرَآنًا وَلَا صَلَّى صَلَاةً إِلَّا خَتَمَ ذَلِكَ بِكَلِمَاتٍ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرَاكَ مَا تَجْلِسُ مَجْلِسًا وَلَا تَتْلُوْ قُرْآنًا وَلَا تُصَلِّىْ صَلَاةً إِلَّا خَتَمْتَ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ قَالَ نَعَمْ مَنْ قَالَ خَيْرًا خَتَمَ لَهُ طَابِعٌ عَلَى ذَلِكَ الْخَيْرِ وَمَنْ قَالَ شَرًّا كُنَّ لَهُ كَفَّارَةً سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لَا إِلَهَ إِلَّاأَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই কোন মজলিসে বসতেন, কুরআন তেলাওয়াত করতেন এবং কোন ছালাত আদায় করতেন, তখনই তিনি এই বাক্যগুলো দ্বারা শেষ করতেন। তাই আমি একদা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি যখন কোন মজলিসে বসে কুরআন তেলাওয়াত করেন অথবা ছালাত আদায় করেন, আমি আপনাকে দেখি এসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এই কথাগুলো দ্বারা। এর কারণ কী? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যে ব্যক্তি কল্যাণমূলক কথা বলে এগুলোর দ্বারা শেষ করবে, তার জন্য এগুলো কল্যাণের অনুগামী হবে। আর যে ব্যক্তি অকল্যাণমূলক কথা বলবে, তার জন্য এগুলো কাফফারা স্বরূপ হবে’ (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ, হা/৩০৮, ১ম খ-, পৃ. ২৭৩; নাসাঈ কুবরা, হা/১০১৪০)।
মজলিস শেষ করার পর দু‘আ
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহাম্দিকা আশহাদু আন লা ইলা-হা ইল্লা আংতা আস্তাগ্ফিরুকা ওয়া আতূবু ইলায়কা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করি আপনার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই; আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তওবা করি’ (তিরমিযী, হা/৩৪৩৩; দা‘ওয়াতুল কাবীর, হা/২৯৬; মিশকাত, হা/২৪৩৩)। যেমন হাদীছে এসেছে-
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا فَكَثُرَ فِيْهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَّقُوْمَ سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِيْ مَجْلِسِهِ ذٰلِكَ
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে অনেক অনর্থক কথা বলেছে, অতঃপর উঠার পূর্বে বলেছে, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করি আপনার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই; আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তওবা করি’। নিশ্চয় আল্লাহ তার ঐ মজলিসে যা হয়েছে তা ক্ষমা করে দিবেন’ (তিরমিযী, হা/৩৪৩৩; দা‘ওয়াতুল কাবীর, হা/২৯৬; মিশকাত, হা/২৪৩৩)।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ