দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ
সকাল-সন্ধ্যার (ফজর ও মাগরিব ছালাতের পর) দু‘আসমূহ
দু‘আ-৪ : শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাইয়েদুল ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ দু‘আ, হল তোমার (সকাল-সন্ধ্যায়) এরূপ বলা-
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لَاۤ إِلٰہَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰی عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِى فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্লহুম্মা আংতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আংতা খলাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা, ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিং শাররি মা ছানা‘তু, আবূউলাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আংতা’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত আপনার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে আপনার নিকট পরিত্রাণ চাচ্ছি। আমি আপনার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি ব্যতীত কেউ ক্ষমাকারী নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬; ‘দু‘আসমূহ’ অধ্যায়; ‘শ্রেষ্ঠতম ইস্তিগফার আল্লাহর বাণী’ অনুচ্ছেদ; আবূ দাঊদ, হা/৫০৭০; তিরমিযী, হা/৩৩৯৩; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৭২; মিশকাত, হা/২৩৩৫; সনদ ছহীহ)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের সাথে উক্ত দু‘আ দিনে পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের সাথে উক্ত দু‘আ রাতে পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬; ‘দু‘আসমূহ’ অধ্যায়; ‘শ্রেষ্ঠতম ইস্তিগফার আল্লাহর বাণী’ অনুচ্ছেদ; আবূ দাঊদ, হা/৫০৭০; তিরমিযী, হা/৩৩৯৩; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৭২; মিশকাত, হা/২৩৩৫)।
দু‘আ-৫ : ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকাল-সন্ধ্যায় বলতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْئَلُكَ الْعَافِيَةَ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالَعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِىْ وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِىْ وَمَالِىْ اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِىْ وَآمِنْ رَوْعَاتِىْ اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِىْ مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِىْ وَعَنْ يَّمِيْنِىْ وَعَنْ شِمَالِىْ وَمِنْ فَوْقِىْ وَأَعُوْذُ بِعَظْمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল্ ‘আ-ফিইয়াতা, ফীদ্ দুনইয়া ওয়াল্ আ-খিরতি। আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল্ ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিইয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-ইয়া ওয়া আহলী ওয়া মা-লী। আল্ল-হুম্মাস্তুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আতী। আল্ল-হুম্মাহ্ ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খলফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমা-লী, ওয়া মিং ফাওক্বী ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযমাতিকা আন্ উগতা-লা মিং তাহ্তী’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমার দোষ সমূহ ঢেকে রাখুন এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ নিরাপদে রাখুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সন্মুখ হতে, ডানদিক হতে, বামদিক হতে এবং আমার উপর দিক হতে। হে আল্লাহ! আমি আপনার মর্যাদার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হতে’ (আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৮, ১২০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৮৫; আবূ দাঊদ, হা/৫০৭৪; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৭১; মিশকাত, হা/২৩৯৭;, সনদ ‘ছহীহ’)।
দু‘আ-৬ : আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে উপদেশ দিয়ে বললেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে,
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ اَصْلِحْ لِيْ شَانِيْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়ূম বিরহমাতিকা আস্তাগীছ আছলিহ্ লী শা’নী কুল্লাহু ওয়ালা তাকিল্নী ইলা নাফ্সী ত্বরফাতা ‘আইনি’।
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার দয়ার মাধ্যমে আপনার নিকট সাহায্য চাই। আপনি আমার সার্বিক অবস্থা ও সকল বিষয় সংশোধন করুন। এক মুহূর্তের জন্যও সেগুলো আমার প্রতি সমর্পণ করবেন না’ (মুসতাদরাক হাকিম, হা/২০০০; সনদ ছহীহ; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২২৭)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ