দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ
রাতে শয্যা গ্রহণের দু‘আ
দু‘আ-৮ : নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন (ডান) হাত মাথার নীচে রাখতেন, অতঃপর বলতেন,
اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাজমা‘ঊ ‘ইবা-দাকা আও তাব‘আছু ‘ইবাদাকা’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার আযাব হতে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে একত্র করবেন অথবা কবর হতে উঠাবেন’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৪৫; তিরমিযী, হা/৩৩৯৮; মিশকাত, হা/২৪০২)।
দু‘আ-৯ : নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাত্রিতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন তার (ডান) হাত তার গালের নীচে রাখতেন, অতঃপর বলতেন,
اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মৃত্যুবরণ করি ও জীবিত হই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১৪; মিশকাত, হা/২৩৮২)।
দু‘আ-১০ : বিছানায় যাওয়ার সময় তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’ তেত্রিশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশ বার ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
سُبْحَانَ اللّٰهِ – الْحَمْدُ لِلّٰهِ – اللّٰهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল্লহ’ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ‘আল্লাহু আকবার’।
অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩১১৩)।
ফযীলত
এই যিকির একজন খাদেমের চেয়ে উত্তম। ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একজন খাদিম চাইলে তিনি আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বললেন, ‘তোমরা যা চেয়েছ, আমি কি তোমাদের তার চেয়ে উত্তম জিনিসের সন্ধান দিব না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন চৌত্রিশ বার ‘আল্লাহু আকবার’ তেত্রিশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, এটাই তোমাদের জন্য তার চেয়ে উত্তম, যা তোমরা চেয়েছ’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩১১৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৭২৮; মিশকাত, হা/২৩৮৮)।
দু‘আ-১১ : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন ডান পার্শ্বের উপর শয়ন করতেন। অতঃপর নিন্মের দু‘আ বলতেন। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেন, ‘হে ওমুক! যখন তুমি বিছানায় আশ্রয় নিবে, তখন ওযূ করবে তোমার ছালাতের ওযূর ন্যায়, অতঃপর তোমার ডান পার্শ্বের উপরে শুবে এবং বলবে,
اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفَسِيْ إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِيْ إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِيْ إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِيْ أَرْسَلْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলায়কা ওয়া ওয়াজ্জাহতু ওজহী ইলায়কা ওয়া ফাওওয়ায্তু আমরী ইলায়কা ওয়া আলজা’তু যহরী ইলায়কা রগবাতান ওয়া রহবাতান ইলায়কা লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিংকা ইল্লা ইলায়কা আ-মাংতু বিকিতাবিকা আল্লাযী আংযালত ওয়া নাবিয়্যিকা আল্লাযী আরসালতা’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম। আপনার দিকে মুখ ফিরালাম, আমার কাজ আপনার নিকট ন্যস্ত করলাম এবং আপনার সাহায্যের প্রতি আমি ভরসা করলাম স্বাগ্রহে ও ভয়ে। আপনার নিকট ছাড়া আপনার থেকে আশ্রয় পাওয়ার ও মুক্তি পাওয়ার কোন স্থান নেই আপনি ব্যতীত। আমি আপনার ঐ কিতাবকে বিশ্বাস করি, যা আপনি অবতীর্ণ করেছেন। আপনার নবীকে বিশ্বাস করি, যাকে আপনি রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেছেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১০; মিশকাত, হা/২৩৮৫)।
ফযীলত
যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণের সময় এই দু‘আ বলবে এবং রাতে মারা যাবে সে ইসলামের উপর মারা যাবে এবং যদি সে মারা না গিয়ে ভোরে উঠে তবে কল্যাণের সাথে উঠবে (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১০; আবূ দাঊদ, হা/৫০৪৬; তিরমিযী, হা/৩৫৭৪)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ