দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ
-আল-ইখলাছ ডেস্ক
১০. হাঁচি হলে দু‘আ
হাঁচি দাতা বলবে, اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আল-হাম্দুলিল্ল-হ) ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য’। যিনি শুনবেন তিনি বলবেন, يَرْحَمُكَ اللّٰهُ (ইয়ারহামুকাল্লা-হ) ‘আল্লাহ ‘তোমার উপর আল্লাহ রহম করুন’। অতঃপর উত্তর শুনে হাঁচি দাতা পুনরায় বলবে, يَهْدِكُمُ اللّٰهُ وَ يُصْلِحُ بَالَكُمْ (ইয়াহ্দিকুল্ল-হু ওয়া ইউছলিহু বা-লাকুম) ‘আল্লাহ তোমাদের হেদায়াত করুন এবং তোমাদেরকে সংশোধন করুন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬২২৪, মিশকাত, হা/৪৭৩৩)।
১১. আয়না দেখার দু‘আ
اَللّٰهُمَّ أَحْسَنْتَ خَلْقِىْ فَأَحْسِنْ خُلُقِىْ
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা আহসানতা খালক্বী ফা আহসিন খুলুক্বী।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সৃষ্টি সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই আমার চরিত্র সুন্দর করুন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৪৩৭, মিশকাত, হা/৫০৯৯; ইরওয়াউল গালীল, হা/৭৪, হাদীছ ছহীহ)।
১২. রোগী দেখার দু‘আ
أَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَائُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আয্হিবিল বা‘স, রব্বান না-স, ওয়াশ্ফি আংতাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফাউকা শিফা-আন লা ইউগা-দিরু সাক্বামা।
অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি এ রোগ দূর করুন এবং আরোগ্য দান করুন, আপনি আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোন রোগ’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৪২, মিশকাত, হা/১৫৩০)।
لاَ بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ
উচ্চারণ : লা বা‘সা ত্বাহূরুন ইংশা-আল্ল-হ।
অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহ চাইলে আরোগ্য লাভ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৫৬; মিশকাত, হা/১৫২৯)।
১৩. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করার সময় পঠিতব্য দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِى الْمَهْدِيِّيْنَ وَاخْلُفْهُ فِىْ عَقِبِهِ فِى الْغَابِرِيْنَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ وَافْسَحْ لَهُ فِىْ قَبْرِهِ وَنَوِّرْ لَهُ فِيْهِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লাহু ওয়ারফা‘ দারাজাতহূ ফিল মাহদিইয়ীনা ওয়াখলুফহ ফী ‘আক্বিবিহি ফিল গ-বিরীন, ওয়াগফির লানা- ওয়া লাহূ ইয়া- রব্বাল ‘আ-লামীন, ওয়াফসাহ লাহূ ফী ক্ববরিহী ওয়া নাব্বির লাহূ ফীহ।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন। আর হেদায়াত প্রাপ্তদের মধ্যে তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তার পিছনে যারা রয়ে গেছে আপনি তাদের প্রতিনিধি হৌন। হে জগতসমূহের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন ও আলোকিত করুন’।
উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু সালামার নিকট আসলেন, এমতাবস্থায় তার চক্ষু খোলা ছিল, তিনি তাঁর চক্ষু বন্ধ করলেন। অতঃপর বললেন, ‘রূহ যখন কবয করা হয়, তখন চক্ষু তার অনুসরণ করে। এ কথা শুনে আবু সালামার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে কেঁদে উঠল। তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তোমাদের আত্মার জন্য কল্যাণ ছাড়া অমঙ্গল কামনা কর না। তোমরা যা বল ফেরেশতাগণ তার সাথে সাথে আমীন আমীন বলেন। অতঃপর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত দু‘আ পাঠ করেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৬৯; মিশকাত, হা/১২১৯, ‘জানাযা’ অধ্যায়)।
১৪. কবরে লাশ রাখার দু‘আ
কবরে লাশ রাখার সময় ডান কাতে রাখবে, যেন মুখ ক্বিবলার দিকে থাকে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৬০৬১; আল-মুহাল্লা, ৫/১৭৩ পৃ.; আলবানী, আহকামুল জানাইয, পৃ. ১৫১)। যারা লাশকে কবরে রাখবে তারা বলবে-
بِسْمِ اللّٰهِ وَ عَلَى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللّٰهِ
উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রসূলিল্লা-হি।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে এবং তাঁর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিল্লাতের উপর (লাশকে কবরে রাখছি)’ (ছহীহ ইবনে মাজাহ, হা/১৫৫০; মুস্তাদরাক হাকিম, হা/১৩৫৩-৫৪; ছহীহুল জামে‘, হা/৮৩২; ইরওয়াউল গালীল, হা/৭৪৭; মিশকাত. হা/১৭০৭)। (চলবে ইনশাআল্লাহ)
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ