দু‘আ ও যিকির
যে কোন সময় (রাতে ও দিনে) পঠিতব্য দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-৯ : মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে বলা,
سُبْحَانَ اللّٰهِ
উচ্চারণ : সুব্হা-নাল্লা-হি। অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র’।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ১. যে ১০০ বার সুবহা-নাল্লা-হি পাঠ করবে, তার জন্য এক হাজার নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার থেকে এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯৮; মিশকাত, হা/২২৯৯)।
দু‘আ-১০ : মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলা,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হি। অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য’ (তিরমিযী, হা/৩৩৮৩; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮০০; সনদ হাসান)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ১. ‘আলহামদু লিল্লা-হি’ হল সর্বোত্তম দু‘আ (তিরমিযী, হা/৩৩৮৩; সনদ হাসান)। ২. আল্লাহ কোন বান্দাকে যখন যে নে‘মতই দান করেন, তাতে সে যদি বলে, ‘আলহামদু লিল্লাহ’, তবে তা তাকে প্রদত্ত অনুগ্রহের চেয়ে উত্তম (ইবনু মাজাহ, হা/৩৮০৫; সনদ হাসান)। ৩. ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর উত্তম বান্দা হবে প্রশংসাকারীরা (মু‘জামুল কাবীর, হা/১৪৬৭৩, সনদ ছহীহ)। ৪. হামদের (প্রশংসার) চেয়ে আল্লাহর নিকটে ওযর পেশের মাধ্যম ও অধিক প্রিয় আর কিছু নাই (মুসানাদে আবি ইয়ালা, হা/৪২৫৬)। ৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আমার মুমিন বান্দা সকল অবস্থায় আমার প্রশংসা করার মাধ্যমে কল্যাণের উপর থাকে, এমনকি আমি তার রূহকে ছিনিয়ে নিই (মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৭৩, সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-১১ : মহান আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করে বলা,
اَللّٰهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : আল্ল-হু আকবার। অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৭৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮১০; সনদ ছহীহ)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ১. যে ১০০ বার ‘আল্ল-হু আকবার’ বলবে, তার জন্য ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর থেকে একশ’ গোলাম আযাদ করার নেকীর সমপরিমাণ হবে (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৭৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮১০; সনদ হাসান)।
দু‘আ-১১ : উম্মু হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে একটা আমল বলে দিন। কেননা এখন আমি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, দুর্বল হয়ে গেছি এবং আমার দেহও ভারী হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তুমি ১০০ বার আল্ল-হু আকবার, ১০০ বার আলহামদু লিল্লা-হি এবং ১০০ বার সুবহানাল্লা-হি বল,
اَللّٰهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : আল্ল-হু আকবার। অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’।
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হি। অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য’।
سُبْحَانَ اللّٰهِ
উচ্চারণ : সুব্হা-নাল্লা-হি। অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৮১০; সনদ হাসান, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৩১৬)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ১. তা জিনপোষ ও লাগামসহ ১০০ ঘোড়া আল্লাহর পথে (জিহাদে) দান করার চেয়ে উত্তম, ১০০ উটের চেয়ে উত্তম এবং ১০০ গোলাম আযাদ করার চেয়ে উত্তম (ইবনু মাজাহ, হা/৩৮১০; সনদ হাসান)।
দু‘আ-১২ : সবসময় বেশি বেশি বলা,
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
উচ্চারণ : লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোন শক্তি কারো নেই’।
ফযীলত : ১. لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ হল জান্নাতের রত্নভাণ্ডার (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৫২; তিরমিযী, হা/৩৬০১)। ২. এটি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা (তিরমিযী, হা/৩৫৮১; সনদ ছহীহ)। ৩. এটি আরশের নীচে অবস্থিত জান্নাতের রত্নভাণ্ডারসম কালেমা। যখন কোন বান্দা এ কালেমা বলে, তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমার বান্দা বশ্যতা স্বীকার করেছে ও অনুগত হয়েছে’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হা/৫৪; সনদ ছহীহ)। ৪. এ বাক্যগুলো বলার মাধ্যমে বেশি বেশি জান্নাতের চারা রোপণ করা যায় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১৩৩৫৪; সনদ হাসান)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ