শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
রাতে শয্যা গ্রহণের দু‘আসমূহ
দু‘আ-৩ : আয়াতুল কুরসী পাঠ করা।
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ

ফযীলত
যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণের সময় ‘আয়াতুল কুরসী’ পড়বে, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যূম’- আয়াতের শেষ পর্যন্ত, তাহলে আল্লাহর পক্ষ হতে সর্বদা তার জন্য একজন পাহারাদার থাকবে এবং শয়তান তার নিকট আসতে পারবে না, যতক্ষণ না সে ভোরে উঠ (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৪২৪; মিশকাত, হা/২১২৩)।

দু‘আ-৪ : সূরা আল-বাক্বারাহর শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করা।
اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡہِ مِنۡ رَّبِّہٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ کُتُبِہٖ وَ رُسُلِہٖ لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِہٖ وَ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا غُفۡرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ – لَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَہَا لَہَا مَا کَسَبَتۡ وَ عَلَیۡہَا مَا اکۡتَسَبَتۡ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا رَبَّنَا وَ لَا تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِہٖ وَ اعۡفُ عَنَّا وَ اغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ

ফযীলত
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারাহর শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০০৯; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১১৪১)।
দু‘আ-৫ : সূরা আস-সাজদাহ এবং সূরা আল-মুলক পাঠ করা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’টি সূরা পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭০০; তিরমিযী, হা/২৮৯২; শারহুস সুন্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯৬; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৫৮৫)।

দু‘আ ও যিকির
দু‘আ-৬ : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ বিছানায় আশ্রয় নেয়, তখন যেন তার লুঙ্গির ভিতর দিক দ্বারা বিছানা ঝেড়ে নেয়। কেননা সে জানে না, তার পর বিছানার উপর কী এসেছে। অতঃপর যেন বলে,

بِاسْمِكَ رَبِّيْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ وَبِكَ أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَارْحَمْهُمَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ

উচ্চারণ : বিস্মিকা রব্বী ওযা‘তু জান্বী ওবিকা আরফা‘য়ুহু ইন্ আমসাক্তা নাফসী র্ফাহাম্হুমা ওয়া ইন্ র্আসাল্তাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহি ‘ইবাদাকাছ ছ-লিহীন।

অর্থ : ‘হে প্রভু! আপনার নামেই আমার পার্শ্ব রাখলাম এবং আপনার নামেই তা উঠাব। যদি আপনি আমার আত্মাকে রেখে দেন, তবে তার প্রতি দয়া করুন, আর যদি তাকে ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে রক্ষা করুন, যা দ্বারা রক্ষা করেন আপনি আপনার নেক বান্দাদের’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩২০,৭৩৯৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১৪; মিশকাত, হা/২৩৮৪)।

দু‘আ-৭ : আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি এক লোককে আদেশ করলেন, যখন শয্যাগ্রহণ করবে তখন বলবে,

اَللَّهُمَّ خَلَقْتَ نَفْسِىْ وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا وَإِنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা খলাক্বতা নাফসী ওয়া আন্তা তাওয়াফ্ফা-হা লাকা মামা-তুহা ওয়া মাহ্ইয়া-হা ইন্ আহ্ইয়াইতাহা ফাহ্ফায্হা ওয়া ইন্ আমত্তাহা ফাগফির লাহা- আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আ-ফিয়াহ।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার জীবন সৃষ্টি করেছেন এবং আপনিই তাকে মৃত্যুদান করবেন। আপনার নিকট (নফসের) জীবন ও মরণ। যদি আপনি একে জীবিত রাখেন তাহলে আপনি এর হেফাযত করুন। আর যদি আপনি এর মৃত্যু দান করেন তাহলে একে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করছি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৮৫)।

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। তিনি এক লোককে আদেশ করলেন, যখন শয্যাগ্রহণ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা খলাক্বতা ….‘আ-ফিয়াহ’। তখন সে লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি তা ওমর ইনবুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে শুনেছেন? তিনি বললেন, ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর চেয়ে যিনি উত্তম অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৮৫)।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)




প্রসঙ্গসমূহ »: দু‘আ
দু‘আ ও ‍যিকির : ঈদ, কুরবানী, হজ্জ ও ওমরাহ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (৩য় বর্ষ, ৩য় সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
শিষ্টাচার - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ঈদ, কুরবানী, হজ্জ ও ওমরাহ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের দু‘আ ও যিকর - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ১১তম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
খাদ্য ও পানীয় পান করার সময় দু‘আ ও যিকর - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ৯ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দু‘আ ও যিকির : যে কোন সময় (রাতে ও দিনে) পঠিতব্য দু‘আ ও যিকর - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (১ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ,১০ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক

ফেসবুক পেজ