শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
ঈদ, কুরবানী, হজ্জ ও ওমরাহ


ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার তাকবীর

দু‘আ- : ছাহাবীগণ ঈদের দিন তাকবীর পাঠ করে বলতেন,

اَللّٰہُ أَكْبَرُ اَللّٰهُ أَكْبَرُ لَا إِ لٰہَ إِلَّا اللّٰهَ وَ اللّٰهُ أَكْبَرُ اَللّٰهُ أَكْبَرُ وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : ‘আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হাম্দ’।

অর্থ :  আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৫৬৯৭; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, ৩য় খ-, পৃ. ১২৫)।

ঈদের শুভেচ্ছা বিনীময়

দু‘আ- : রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ ঈদের দিন পারস্পারিক সাক্ষাৎ হলে একে অপরকে বলতেন,

تَقَبَّلَ  اللّٰهُ  مِنَّا وَمِنْكَ

উচ্চারণ : ‘তাক্বাব্বালাল্লা-হু মিন্না ওয়া মিনকা’।

অর্থ : আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে এবং আপনার পক্ষ থেকে কবুল করুন (ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী, ২য় খ-, পৃ. ৪৪৬; জামিঊ ছহীহিল আযকার লিল আলবানী, হা/৬১৭-৬১৮, সনদ হাসান)।

কুরবানী বা যবেহ করার সময় দু‘আ ও যিকর

দু‘আ-১ : আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যবেহ করার সময় বলেছেন,

بِسْمِ اللّٰهِ  وَاللّٰهُ  أَكْبَرُ

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াল্ল-হু আকবার’।

অর্থ : আল্লাহর নামে (যবেহ) করছি, আল্লাহ মহান (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৬৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৬৬; মিশকাত, হা/১৪৫৩)।

দু‘আ-২ : জুনদুব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কুরবানী বা যবেহ করবে সে যেন বলে,

بِسْمِ اللّٰهِ

উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি’।

অর্থ : আল্লাহর নামে (যবেহ) করছি (ছহীহ বুখারী, হা/৯৮৫, ৬৬৭৪, ৭৪০০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৬০; মিশকাত, হা/১৪৭২)।

হজ্জ ও ওমরাহ পালনকারী মুহরিম ব্যক্তির তালবিয়া

দু‘আ- : আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মাথার কেশ জড়ানো অবস্থায় (তালবিয়া) বলতে শুনেছি,

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নি‘মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক’।

অর্থ : ‘আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সা¤্রাজ্য আপনারই। আপনার কোন শরীক নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯, ৫৯১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪)।

ত্বাওয়াফে হাজারে আসওয়াদের নিকট দু‘আ ও যিকর

দু‘আ-১ :  ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, নবী (ﷺ) উটের পিঠে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ ত্বাওয়াফ করেন, যখনই তিন হাজারে আসওয়াদের কাছে আসতেন তখনই কোন কিছুর দ্বারা তার দিকে ইঙ্গিত করতেন এবং বলতেন,

اَللّٰهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : ‘আল্ল-হু আকবার’।

অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৬১৩)।

রুকনে ইয়ামানী এবং হাজারে আসওয়াদের মাঝে দু‘আ

দু‘আ-১ :  আব্দুল্লাহ ইবনু সায়েব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্য জায়গায় বলতে শুনেছি; তিনি বলেছেন,

رَبَّنَاۤ  اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً  وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً  وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আ-তিনা ফিদ দুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-রি’।


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচান’ (আবূ দাঊদ, হা/১৮৯২; মিশকাত, হা/২৫৮১, সনদ হাসান)।




প্রসঙ্গসমূহ »: কুরবানী দু‘আ
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ,১০ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
রামাযান সংক্রান্ত যরূরী দু‘আ সমূহ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (১ম বর্ষ, ১২তম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দু‘আ ও যিকির : যে কোন সময় (রাতে ও দিনে) পঠিতব্য দু‘আ ও যিকর - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ৮ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (৩য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ১১তম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (৩য় বর্ষ, ৫ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (৩য় বর্ষ, ৩য় সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (১ম বর্ষ, ১০ম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ (২য় বর্ষ, ১২তম সংখ্যা) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
দুশ্চিন্তা ও বিপদগ্রস্ত এবং কারারুদ্ধ ব্যক্তির দু‘আ - আল-ইখলাছ ডেস্ক

ফেসবুক পেজ