যে কোন সময় (রাতে ও দিনে) পঠিতব্য দু‘আ ও যিকর
আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা, তাঁর অভিমুখী হওয়ার দু‘আ ও যিকর
দু‘আ- : ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর অনুসারীগণ বলেছিলেন,
رَبَّنَا عَلَیۡکَ تَوَکَّلۡنَا وَ اِلَیۡکَ اَنَبۡنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ .رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَۃً لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ اغۡفِرۡ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ.
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনারই অভিমুখী হয়েছি এবং ফিরে যাওয়া তো আপনারই কাছে। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে কাফিরদের ফিতনার পাত্র করবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আলে ‘ইমরান, আয়াত: ৪-৫)।
হেদায়াত চাওয়া এবং তার উপর অটল থাকার দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : মহান আল্লাহর নিকট হেদায়াত চেয়ে বলা,
اِہۡدِ نَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ .صِرَاطَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِمۡ ۙ۬ غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ.
অর্থ : ‘আমাদেরকে সরল পথের হেদায়াত দিন, তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নে‘মত দিয়েছেন, যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়’ (সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৬-৭)।
দু‘আ-২ : যারা জ্ঞানে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত তারা বলতেন,
رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ ہَدَیۡتَنَا وَ ہَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَہَّابُ.
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! সরল পথ দেয়ার পর আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে সত্য লঙ্ঘনপ্রবণ করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদেরকে করুণা দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা’ (সূরা আলে ‘ইমরান, আয়াত : ৮)।
দু‘আ-৩ : আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেন,
اَللّٰهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা মুর্ছারিফাল কুলূবি র্ছরিফ কুলূবানা ‘আলা ত্ব-‘আতিকা।
অর্থ : ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার আনুগত্যের দিকে পরিবর্তন করে দিন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৪)।
দু‘আ-৪ : আনাস ইবনু মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেশীর ভাগ সময় বলতেন,
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلَىْ دِيْنِكَ.
উচ্চারণ : ইয়া মুক্বালিবাল কুলূব ছাব্বিত ক্বলবী ‘আলা দ্বীনিকা।
অর্থ : ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপরে দৃঢ় রাখুন’ (তিরমিযী, হা/২১৪০; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৩৪, সনদ ছহীহ)।
ইলম বা জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আপনি বলুন,
رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا.
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ করুন’ (সূরা ত্বো-হা, আয়াত: ১১৪)।
দু‘আ-২ : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেন,
اَللّٰهُمَّ انْفَعْنِيْ بِمَا عَلَّمْتَنِيْ وَعَلِّمْنِيْ مَا يَنْفَعُنِيْ وَزِدْنِيْ عِلْمًا اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ وَأَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মানফা‘নী বিমা ‘আল্লামতানী ওয়া ‘আল্লিমনী মা ইয়ানফাঊনী ওয়া যিদনী ‘ইলমান আলহামদু লিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হালিন ওয়া আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিন হালি আহলিন নারি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের উপকারী করুন, যা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং শিক্ষা দিন আমাদেরকে তা, যা আমাদের উপকারে লাগবে, আর আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। প্রত্যেক অবস্থায় আল্লাহর কৃজ্ঞতা এবং আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামবাসীদের অবস্থা হতে’ (তিরমিযী, হা/৩৫৯৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৩৩, সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-৪ : উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সকালে বলতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا.
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান না-ফি‘য়ান ওয়া রিযক্বান ত্বয়্যেবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, হালাল রিযিক ও কবুলযোগ্য আমল চাচ্ছি’ (ইবনু মাজাহ, হা/৯২৫, সনদ ছহীহ)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ