দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আসমূহ
সকাল-সন্ধ্যার দু‘আসমূহ
দু‘আ-৭ : সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার বলবে,
بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الْأَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লা-হিল্লা-যী লা-ইয়াযুররু মা‘আসমিহী শাইয়ুং ফিল আরযি ওয়ালা ফিস সামা-য়ি, ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম’।
অর্থ : ‘আমি ঐ আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যার নামে আরম্ভ করলে আসমান ও যমীনের কোন কিছুই ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। যিনি শুনেন এবং দেখেন’ (আবূ দাউদ, হা/৫০৮৮, তিরমিযী, হা/৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬৯, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৩৯১)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উক্ত দু‘আ সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়বে, বালা-মুছীবত তাকে স্পর্শ করতে পারবে না’ (তিরমিযী, হা/৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬৯; সনদ ‘ছহীহ’)। অপর বর্ণনায় আছে, ‘যে সন্ধ্যায় বলবে, সে রাতে তার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছবে না যতক্ষণ না সকাল হয়। আর যে তা সকালে বলবে, তার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছবে না যতক্ষণ না সন্ধ্যা হয়’ (আবূ দাউদ, হা/৫০৮৮, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৩৯১)।
দু‘আ-৮ : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন সকালে উঠবে, সন্ধ্যায় উপনীত হবে এবং (রাতের) শয্যা গ্রহণ করবে, তখন বলবে,
اَللّٰهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلٰى نَفْسِيْ سُوْءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلٰى مُسْلِمٍ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা ‘আ-লিমাল গায়বি ওয়াশ শাহা-দাতি ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি রব্বা কুল্লি শাইয়িং ওয়া মালীকাহু আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা আ‘য়ূযুবিকা মিং শাররি নাফ্সী ওয়া মিং শাররিশ শাইত্ব-নি ওয়া শিরকিহি ওয়া আন্ আক্বতারিফা ‘আলা-নাফসী সূয়ান আও আজুররাহু ইলা-মুসলিমিন’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানী, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিকারী- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার মনের মন্দ হতে, শয়তানের মন্দ ও তার শিরক হতে এবং আমি অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়া বা কোন মুসলিমকে অপরাধের দিকে ধাবিত করা হতে আশ্রয় চাচ্ছি’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৪; তিরমিযী, হা/৩৩৯২; আবূ দাঊদ, হা/৫০৬৭; দারেমী, হা/২৬৮৯, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৩৯০)।
দু‘আ-৯ : সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার বলবে,
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি’।
অর্থ : ‘আমি উচ্চ মর্যাদাশীল আল্লাহর প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করছি’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯২)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক একশ’ বার (سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ ) বলবে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে, যদিও সে গুনাহ সমুদ্রের ফেনার ন্যায় অধিক হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় একশ’ বার (سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ ) বলবে, এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ বাক্য নিয়ে ক্বিয়ামতের দিন কেউ উপস্থিত হতে পারবে না, কেবল সেই ব্যক্তি ব্যতীত, যে এটার অনুরূপ বা এটা অপেক্ষা অধিকবার বলবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯২)।
দু‘আ-১০ : সকাল-সন্ধ্যায় বলবে,
لَا اِلٰهَ إلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর হাতেই রয়েছে রাজত্ব। প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৭৭; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬৭, সনদ ছহীহ)।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় বলবে (لَا اِلٰهَ إلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ), তার জন্য এটা ইসমাঈল বংশীয় একটি দাস মুক্ত করার সমান নেকী হবে এবং তার জন্য দশটি পুণ্য লেখা হবে, তার দশটি পাপ ক্ষমা করা হবে, তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে এবং সে শয়তান হতে নিরাপদে থাকবে, যতক্ষণ না সে সন্ধ্যায় উপনীত হয়। আর যদি সন্ধ্যায় বলে, তার জন্য ঐরূপ হবে যতক্ষণ না সে সকালে ওঠে’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৭৭; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬৭, সনদ ছহীহ)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ