দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আসমূহ
চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক
রোগীকে দেখা ও ঝাড়ফুঁক করার দু‘আ
দু‘আ-১ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোন মানুষ যখন অসুস্থ হত, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ডান হাত তার গায়ে বুলিয়ে দিতেন এবং বলতেন,
أَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আয্হিবিল বা‘সা, রব্বান না-সা, ওয়াশ্ফি আংতাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফাউকা শিফা-আন লা য়ুগা-দিরু সাক্বামা।
অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি এ রোগ দূর করুন এবং আরোগ্য দান করুন, আপনি আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোন রোগ’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৭৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯১; মিশকাত, হা/১৫৩০)।
----
দু‘আ-২ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নের দু‘আ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতেন,
أَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ بِيَدِكَ الشِّفَاءُ لَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : আয্হিবিল বা‘সা, রব্বান না-সা, বিয়াদিকাশ শিফা-উ লা কা-শিফা লাহু ইল্ল আংতা।
অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি এ রোগ দূর করুন এবং আপনার নিকটেই রয়েছে আরোগ্য। আপনি ব্যতীত কোন আরোগ্যকারী নেই’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯১)।
-----
দু‘আ-৩ : ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন অসুস্থকে দেখতে যেতেন, তখন বলতেন,
لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَاءَ اللّٰهُ
উচ্চারণ : লা বা‘সা ত্বহূরুন ইংশা-আল্ল-হ।
অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহ চাইলে আরোগ্য লাভ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬১৬, ৫৬৫৬; মিশকাত, হা/১৫২৯)।
-----
দু‘আ-৪ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হতেন, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁকে ঝাড়ফুঁক করতেন এবং বলতেন,
بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيْكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِىْ عَيْنٍ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি ইয়ুবরীকা ওয়া মিং কুল্লি দা-ইন ইয়াশফীকা ওয়া মিং শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ ওয়া শাররি কুল্লি যী ‘আইনিন।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে-তিনি আপনাকে (ব্যাধি হতে) সুস্থতা দান করুন, সব ব্যাধি থেকে আপনাকে মুক্ত করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এবং যখন সে হিংসা করে এবং সকল প্রকার কুদৃষ্টি ব্যক্তির ক্ষতি হতে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৫)।
-----
দু‘আ-৫ : সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হতেন, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁকে ঝাড়ফুঁক করতেন এবং বলতেন,
بِاسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيْكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللّٰهُ يَشْفِيْكَ بِاسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা মিং কুল্লি শাইইং ইউযীকা মিং র্শারি কুল্লি নাফসিন আও ‘আইনি হা-সিদিল্লা-হু ইয়াশফীক্ব বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি-সে সব জিনিস হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব আত্মার খারাবী অথবা হিংসুকের কুদৃষ্টি হতে আল্লাহ আপনাকে মুক্তি দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৬)।
মু‘আব্বিযাত দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অসুস্থ হতেন, তখন ‘মু‘আব্বিযাত’ (সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস) দ্বারা নিজের শরীরের উপর ফুঁ দিতেন এবং নিজের হাত দ্বারা শরীরে মুছে ফেলতেন। অথবা যখন তাঁর পরিবারের কেউ রোগে আক্রান্ত হত, তখন তিনি ‘মু‘আব্বিযাত’ পড়ে তার উপর ফুঁ দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯২)।