বিবাহ ও পরিবার
চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান কামনা করার দু‘আ
দু‘আ-১ : ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সৎকর্মপরায়ণ সন্তান কামনা করে বলেছিলেন,
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ.
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন’ (সূরা আছ-ছাফফাত : ১০০)।
দু‘আ-২ : যাকারিয়া (আলাইহিস সালাম) উত্তম সন্তান কামনা করে বলেছিলেন,
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ.
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে আপনি আপনার নিকট থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ৩৮)।
দু‘আ-৩ : যাকারিয়া (আলাইহিস সালাম) সন্তান কামনা করে বলেছিলেন,
رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ.
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে একা (নিঃসন্তান) রেখে দিবেন না, আপনি তো শ্রেষ্ঠ ওয়ারিশ’ (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৯)।
দু‘আ-৪ : মুমিনগণ চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান কামনা করে বলবে,
رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا.
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাক্বীদের জন্য অনুসরণযোগ্য’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ৭৪)।
নিজ ও পরিবারের সদস্যদের ছালাত আদায়কারী হিসাবে গণ্য করার দু‘আ
দু‘আ- : ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নিজ এবং সন্তানদের ছালাত আদায়কারী হিসাবে গণ্য করার জন্য দু‘আ করে বলেছিলেন,
رَبِّ اجْعَلْنِيْ مُقِيْمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِيْ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ.
অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ছালাত আদায়কারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দু‘আ’ (সূরা ইবরাহীম : ৪০)।
পরিবারের সদস্যদের মহান আল্লাহর অনুগত ও সৎকর্মপরায়ণ হিসাবে গণ্য করার দু‘আ
দু‘আ-১ : যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) কা’বাঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তারা বলেছিলেন,
رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ - رَبَّنَا وَ اجۡعَلۡنَا مُسۡلِمَیۡنِ لَکَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِنَاۤ اُمَّۃً مُّسۡلِمَۃً لَّکَ ۪ وَ اَرِنَا مَنَاسِکَنَا وَ تُبۡ عَلَیۡنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ .
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। হে আমাদের রব! আর আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত জাতি উত্থিত করুন। আর আমাদেরকে ‘ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে দিন এবং আমাদের তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনিই বেশি তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১২৭-১২৮)।
দু‘আ-২ :
رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰہُ وَ اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَ اِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ.
অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এরূপ ভাগ্য দান করুন, যাতে আমি আপনার নে‘মতের শুকরিয়া আদায় করি, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্যতম’ (সূরা আল-আহক্বাফ : ১৫)।
সামাজিক ঘৃণিত কর্ম থেকে পরিত্রাণ চাওয়ার দু‘আ
দু‘আ : লূত (আলাইহিস সালাম) নিজ ও পরিবারকে ঘৃণিত কর্ম থেকে আল্লাহর নিকট পরিত্রাণ চেয়ে বলেছিলেন,
رَبِّ نَجِّنِیۡ وَ اَہۡلِیۡ مِمَّا یَعۡمَلُوۡنَ.
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে এবং আমার পরিবার-পরিজনকে, তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা করুন’ (সূরা আশ-শু‘আরা : ১৬৯)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ