চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক
কুষ্ঠ, শ্বেত ও দুরোরোগ্য ব্যাধি, পাগলামি, মহামারী ও বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাওয়ার দু‘আ
দু‘আ-১ : আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্ল-হুমা ইন্নী আঊয়ুযুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনূনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিং সায়্যিইল আসক্বাম।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কুষ্ঠ রোগ, পাগলামী, শ্বেত রোগ এবং দুরোরোগ্য ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাই’ (আবূ দাঊদ, হা/১৫৫৪; সনদ ছহীহ)।
অসুস্থ ব্যক্তির দু‘আ
দু‘আ-১ : আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখে নিম্নের দু‘আ বলার উপদেশ দিয়েছেন
اَللّٰهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন ও আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে বাঁচান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৮৮)।
ফযীলত : অসুস্থ অবস্থায় এ দু‘আ পড়লে আরোগ্য লাভ হয় (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৮৮; মিশকাত, হা/২৫০২)।
দু‘আ-২ : অসুস্থ ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় বলবে,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আক্বার। লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু। লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু । লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং আল্লাহ অতি মহান। আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, রাজ্য তাঁর ও প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোন উপায় ও শক্তি নেই’।
ফযীলত : যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় এ দু‘আ বলবে, অতঃপর মারা যাবে, তাকে জাহান্নামের আগুন খাবে না (তিরমিযী, হা/৩৪৩০; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৯৪, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৩১০)।
রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে দু‘আ
দু‘আ-১ : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে লোক কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে বলে,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِيْ عَلَيْكَ وَعَلَى كَثِيْرٍ مِنْ عِبَادِهِ تَفْضِيْلًا
উচ্চারণ : আল-হামদুলিল্লাহিল লাযী ‘আফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহি ওয়া ফাযযালানী ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা কাছীরিম মিন ‘ইবাদিহি তাফযীলান।
অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তোমার ও তার অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন’।
ফযীলত : যে ব্যক্তি কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে এ দু‘আ বলে, সে যেন ঐ সকল নে‘মতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করল (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৪৪৩; সনদ হাসান)।
দু‘আ-২ : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে লোক কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِيْ عَلَى كَثِيْرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا
উচ্চারণ : আল-হামদুলিল্লাহিল লাযী ‘আফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহি ওয়া ফায্যালানী ‘আলা কাছীরিম মিম্মান খলাক্বা তাফযীলান।
অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য বান্দার উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন’।
ফযীলত : যে ব্যক্তি কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে এ দু‘আ বলে, সে উক্ত ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না (তিরমিযী, হা/৩৪৩২; সনদ ছহীহ)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ