খাদ্য ও পানীয়
দু‘আ-২ : খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করার সময় মাঝে মাঝে বলবে,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ.
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য’।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে এক লোকমা খাদ্য খেয়ে তাঁর প্রশংসা করে অথবা এক ঢোক পানি পান করে তাঁর প্রশংসা করে (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৩৪; তিরমিযী, হা/১৮১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৯২; মিশকাত, হা/৪২০০)।
খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ শেষে দু‘আ
দু‘আ-১ : মু‘আয ইবনু আনাস আল-জুহানী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আহার করে সে যেন বলে,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنِىْ هَذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّىْ وَلَا قُوَّةَ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহিল লাযী আত্ব‘আমানী হাযা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গইরি হাওলিন মিন্নী ওয়ালা কুয়্যাতা’।
অর্থ : ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে আমার শক্তি ও ক্ষমতা ব্যতীত আহার করিয়েছেন ও রিযিক দান করেছেন’।
ফযীলত : নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আহার করে উপরিউক্ত দু‘আ বলবে, তাহলে তার পূর্বেকার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে (ইবনু মাজাহ, হা/৩২৮৫; তিরমিযী, হা/৩৪৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৭০, সনদ হাসান)।
দু‘আ-২ : আবূ উমামা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সম্মুখ হতে যখন দস্তরখান উঠান হত, তখন তিনি বলতেন,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبُّنَا
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহি হামদাং কাছিরাং ত্বয়্যিবাম মুবারাকাং ফী গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওদ্দাঈন ওয়ালা মুসতাগনান ‘আনহু রব্বুনা’।
অর্থ : ‘পবিত্রময় ও বরকতময় মহান আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা। হে প্রভু! আপনার নে‘মত হতে মুখ ফিরান যায় না, আর তাঁর অন্বেষণ ত্যাগ করা যায় না এবং তাঁর প্রয়োজন হতে মুক্ত থাকা যায় না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৫৮, ‘আত্ব‘ইমাহ, অধ্যায়, ‘খাওয়ার পর কী পড়বে’ অনুচ্ছেদ; আবূ দাঊদ, হা/৩৮৪৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩২৮৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২২২২; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫২১৭; মুসতাদরাক হাকিম, হা/১৯৩৫; মিশকাত, হা/৪১৯৯)।
দু‘আ-৩ : আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ খানা খায়, তখন সে যেন বলে,
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ
উচ্চারণ : ‘আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত্ব‘ইমনা খইরাম মিনহু’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য এই খাদ্যে বরকত দান করুন এবং ইহা অপেক্ষা উত্তম খাদ্য দান করুন’ (তিরমিযী, হা/৩৪৫৫; আবূ দাঊদ, হা/৩৭৩০; ইবনু মাজাহ, হা/৩৩২২, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৩২০, সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-৪ : আবু আইয়ূব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কিছু খেতেন এবং পান করতেন, তখন বলতেন,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَطْعَمَ وَسَقَى وَسَوَّغَهُ وَجَعَلَ لَهُ مَخْرَجَا
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহিল লাযী আত্ব‘আমা ওয়া সাক্বা ওয়া সাওয়্যাগাহু ওয়া জা‘আলা লাহু মাখরাজা’।
অর্থ : ‘সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর জন্য, যিনি খাওয়াছেন, পান করিয়েছেন, অতি সহজে তা উদরস্ত করেছেন এবং বাহির হবার ব্যবস্থা করেছেন’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫১, ‘আত্ব‘ইমাহ, অধ্যায়, ‘খাওয়ার পর যা বলবে’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫২২০; মিশকাত, হা/৪২০৭, সনদ ছহীহ; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৭০৫)।