বিবাহ ও পরিবার : নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জন্য দু‘আ
দু‘আ : আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিবাহিত ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলতেন,
بَارَكَ اللّٰهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِىْ خَيْرٍ
উচ্চারণ : বা-রাকাল্ল-হু লাকা, ওয়া বা-রাকা ‘আলাইকা, ওয়া জামা‘আ বায়নাকুমা ফী খইরিন।
অর্থ : ‘আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমাদের উভয়ের প্রতি বরকত নাযিল করুন এবং তোমাদেরকে কল্যাণের সাথে একত্রে রাখুন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৯৪৩; আবূ দাঊদ, হা/২১৩০; তিরমিযী, হা/১০৯১; সনদ ছহীহ)।
নতুন স্ত্রীর কপালে হাত রেখে দু‘আ
দু‘আ : আমর ইবনু শু‘আইব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ কোন নারীকে বিয়ে করে অথবা চাকর ক্রয় করে, সে যেন তার মাথার সম্মুখে হাত রেখে বরকতের দু‘আ করে এবং বলে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খইরাহা ওয়া খইরা মা জাবাল্তাহা আলাইহি ওয়া আ‘উযুবিকা মিন র্শারিহা ওয়া র্শারি মা জাবাল্তাহা- ‘আলাইহি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার কল্যাণ চাই এবং যে কল্যাণ দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন তা চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। আর যে অনিষ্ট দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন সে অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই’ (আবূ দাঊদ, হা/২১৬০; ইবনু মাজাহ, হা/২২৫২; মিশকাত, হা/২৪৪৬, সনদ হাসান)।
স্ত্রী সহবাসের দু‘আ
দু‘আ : আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে ইচ্ছা করে, তখন সে যেন বলে,
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্ল-হুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বনা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বনা মা রযাক্বতানা।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে, আল্লাহ আপনি আমাদেরকে দূরে রাখুন শয়তান হতে এবং শয়তানকে দূরে রাখুন আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন তা হতে’।
ফযীলত : স্বামী-স্ত্রীর এ সহবাসে যদি তাদের জন্য কোন সন্তান নির্ধারিত হয়, তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩৮৮,৭৩৯৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৩৪; মিশকাত, হা/২৪১৬)।
সন্তানদের জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়ার দু‘আ
দু‘আ : ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ইসমাঈল ও ইসহাক্বের জন্য এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর জন্য আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে বলতেন,
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উচ্চারণ : উ‘ইযুকুমা বিকালিমাতি ল্লা-হিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বনিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিন লাম্মাতিন।
অর্থ : ‘আমি তোমার জন্য আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি প্রত্যেক শয়তান হতে, প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষু হতে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১১২; তিরমিযী, হা/২০৬০)।
চক্ষুশীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান কামনা করার দু‘আ
ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সন্তান ও পরিবারের জন্য দু‘আ করে বলেছিলেন,
رَبَّنَاۤ اِنِّیۡۤ اَسۡکَنۡتُ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ بِوَادٍ غَیۡرِ ذِیۡ زَرۡعٍ عِنۡدَ بَیۡتِکَ الۡمُحَرَّمِ ۙ رَبَّنَا لِیُـقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ فَاجۡعَلۡ اَفۡئِدَۃً مِّنَ النَّاسِ تَہۡوِیۡۤ اِلَیۡہِمۡ وَارۡ زُقۡہُمۡ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّہُمۡ یَشۡکُرُوۡنَ
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমি আমার বংশধরদের কিছু সংখ্যককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের কাছে, হে আমাদের রব! এ জন্য যে, তারা যেন ছালাত কায়েম করে। অতএব আপনি কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের রিযকের ব্যবস্থা করুন, যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে’ (সূরা ইবরাহীম : ৩৭)।