দু‘আ ও যিকির
বৃষ্টি, ঝড়-তুফান ও মেঘের গর্জনে দু‘আ ও যিকর
ক্ষতিকর বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ চাওয়ার দু‘আ ও যিকর
দু‘আ- : আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অতি বর্ষণের সময় হস্তদ্বয় উঠিয়ে বলেছেন,
اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওলা ‘আলাইনা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের উপর নয়; বরং আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন’। অপর বর্ণনায় আছে,
اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا. اَللّٰهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُوْنِ الْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওলা ‘আলাইনা আল্ল-হুম্মা ‘আলাল আকামি ওয়ায্ যিরাবি ওয়া বুতূনিল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের উপর নয়; বরং আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! টিলার উপরে পাহাড়ের গায়ে, উপত্যকা এলাকায় এবং বৃক্ষের পাদদেশে বর্ষণ করুন’।
ফযীলত : এ দু‘আ পড়ার ফলে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (ছহীহ বুখারী, হা/৯৩৩, ১০৩৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯৭)।
ঝড়-তুফান ও মন্দ বাতাসের সময় দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, যখন ঝড় বাতাশ আরম্ভ হত, নবী করীম (ﷺ) বলতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খইরহা ওয়া খইরা মা ফীহা ওয়া খইরা মা উরসিলাত বিহী ওয়া আ‘উযুবিকা মিন র্শারিহা ওয়া র্শারি মা ফীহা ওয়া র্শারি মা উরসিলাত বিহী।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি এর ভাল দিক, এতে যা ভাল আছে তা এবং এটা যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়েছে তার ভাল দিক এবং আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এর মন্দ হতে, এতে যা মন্দ আছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়েছে তার মন্দ হতে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯৯)।
দু‘আ-২ : উবাই ইবনু কা‘ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বাতাসকে গালি দিয়ো না; বরং যখন তোমরা মন্দ কিছু দেখবে, তখন বলবে,
اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَخَيْرِ مَا فِيْهَا وَخَيْرِ مَا أُمِرَتْ بِهِ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খইরি হাযিহির রীহি ওয়া খইরি মা ফীহা ওয়া খইরি মা উমিরাত বিহি ওয়া নাঊযু বিকা মিন র্শারি হাযিহির রীহি ওয়া র্শারি মা ফীহা ওয়া র্শারি মা উমিরাত বিহি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট চাচ্ছি এই বাতাসের ভাল দিক, তাতে যা ভাল নিহিত আছে তা এবং যেজন্য নির্দেশিত হয়েছে তার ভাল দিক। আমরা আশ্রয় চাচ্ছি আপনার নিকট এই বাতাসের মন্দ দিক হতে, তাতে যা মন্দ আছে তা হতে এবং তা যে জন্য নির্দেশিত হয়েছে তার মন্দ দিক হতে (তিরমিযী, হা/২২৫২, সনদ ছহীহ)।
মেঘ দেখলে ও মেঘের গর্জন শুনলে দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন মেঘ দেখতেন, তখন বলতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْهِ.
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন র্শারি মা ফীহি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, এতে যা মন্দ আছে তা হতে’ (মুসনাদুল ইমামিশ শাফেঈ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৭৪; হা/৫০১)।
দু‘আ-২ : আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন, তখন কথাবার্তা ত্যাগ করতেন এবং বলতেন,
سُبْحَانَ الَّذِىْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ.
উচ্চারণ : সুব্হা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর রা‘দু বিহাম্দিহী ওয়াল মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহী।
অর্থ : ‘আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই সত্তার, মেঘের গর্জনে যাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে তাঁর প্রশংসাসহ এবং ফেরেশতাগণ তাঁর ভয়ে’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৩৬৪১; ছহীহ আদাবুল মুফরাদ, হা/৭২৩, সনদ ছহীহ)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ