রাতে জাগ্রত হয়ে পঠিতব্য দু‘আ
দু‘আ-৪ : সূরা আলে ‘ইমরানের শেষের দশ (১৯০-২০০) আয়াত পাঠ করা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক ও ওযূ করে (অন্য বর্ণনায়, ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে) তা পাঠ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩)।
দু‘আ-৫ : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে বলতেন,
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِىْ قَلْبِيْ نُوْرًا وَفِىْ بَصَرِيْ نُوْرًا وَفِىْ سَمْعِيْ نُوْرًا وَعَنْ يَّمِيْنِيْ نُوْرًا وَعَنْ يَّسَارِيْ نُوْرًا وَفَوْقِيْ نُوْرًا وَتَحْتِيْ نُوْرًا وَأمَامِيْ نُوْرًا وَخَلْفِىْ نُوْرًا وَاجْعَلْ لِيْ نُوْرًا
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মাজ ‘আল ফী ক্বলবী নূরান ওয়াফী বাছারী নূরান ওয়াফী সামঈ নূরান ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান ওয়া ‘আন ইয়াসারী নূরান ওয়া ফাওক্বী নূরান ওয়া তাহতী নূরান ওয়া আমামী নূরান ওয়া খলফী নূরান ওয়াজ‘আলা লী নূরান’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি সৃষ্টি করুন আমার অন্তরে নূর, আমার চোখে নূর, আমার কানে নূর, আমার ডান দিকে নূর, আমার বাম দিকে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নিচে নূর, আমর সম্মুখে নূর, আমার পিছনে নূর। হে আল্লাহ! আপনি আমার সৃষ্টি করুন নূর’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩)।
----------
দু‘আ-৬ : রাতে ছালাতে দশ অথবা একশ’ অথবা এক হাজার আয়াত পাঠ করা,
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিতে ছালাতে দাঁড়িয়ে দশটি আয়াত পাঠ করবে, তাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না এবং যে ব্যক্তি একশ’ আয়াত পাঠ করবে তাকে বিনয়ীদের মধ্যে গণ্য করা হবে, আর যে ব্যক্তি এক হাযার আয়াত পাঠ করবে, তাকে অধিক কার্যকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে’ (আবূ দাঊদ, হা/১৩৯৮; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৫৭২; মিশকাত, হা/১২০১, সনদ ছহীহ)।
----------
দু‘আ-৭ : আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের ছালাতে তাকবীরে তাহরীমার পর বলতেন,
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلٰهَ غَيْرُكَ اَللّٰهُ أَكْبَرُ كَبِيْرًا أَعُوْذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ.
উচ্চারণ : ‘সুব্হা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়া বিহাম্দিকা ওয়া তাবা-রাকাস্মুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলা-হা গইরুকা। আল্ল-হু আকবার কাবীরা। আঊযুবিল্লা-হিস সামীঈল ‘আলীমি মিনাশ শায়ত্ব-নির রাজীম, মিন হামযিহী ওয়া নাফখিহী ওয়া নাফছিহী’।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনার নাম মঙ্গলময় হোক, আপনার নাম সুউচ্চ হোক। আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ মহান। আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান হতে, তার কুমন্ত্রণা ও ফুঁক দেয়া হতে পরিত্রাণ চাচ্ছি, যিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ’ (আবূ দাঊদ, হা/৭৭৫; তিরমিযী, হা/২৪২; মিশকাত, হা/১২১৭; সনদ ছহীহ)।
----------
দু‘আ-৮ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে তাহাজ্জুদ ছালাত শুরু করতেন এবং বলতেন,
اَللّٰهُمَّ رَبَّ جِبْرِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيْمَا كَانُوْا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ اِهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِيْ مَنْ تَشَاءُ إِلَىْ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ.
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকা-ঈলা ওয়া ইসরা-ফীলা ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি। আংতা তাহকুমু বায়না ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূনা। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্কি বিইযনিকা। ইন্নাকা তাহদী মাং তাশা-উ ইলা ছিরা-ত্বিম মুস্তাক্বীম’।
অর্থ : ‘হে জিবরীল, মিকাঈল ও ইসরাফীলের আল্লাহ! যিনি আসমান-যমীনের ¯্রষ্টা এবং দৃশ্য-অদৃশ্য সম্পর্কে সর্বজ্ঞ। আপনার বান্দার মাঝে আপনি ফায়ছালা করবেন, তারা যে বিষয়ে মতভেদ করছে। আপনার ইচ্ছায় আমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন তারা যে বিষয়ে মতভেদ করছে সে সম্পর্কে। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭০; মিশকাত, হা/১২১২)।