দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আ সমূহ
রাতে শয্যা গ্রহণের দু‘আ
দু‘আ-১৫ : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন বলতেন,
بِسْمِ اللّٰهِ وَضَعْتُ جَنْبِيْ لِلّٰهِ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ وَاخْسَأْ شَيْطَانِيْ وَفُكَّ رِهَانِيْ وَاجْعَلْنِيْ فِي النَّدِيِّ الْأَعْلَى
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াযা‘তু জানবী লিল্লা-হি আল্লাহুম্মাগ ফিরলী যানবী ওয়াখসা’ শায়ত্বানী ওয়াফুক্কা রিহানী ওয়াজ‘আলনী ফিদ নাদিয়্যিল ‘আলা’।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমার পার্শ্ব রাখলাম। হে আল্লাহ! আপনি আমার অপরাধ ক্ষমা করুন, আমার হতে শয়তান তাড়িয়ে দিন, আমার ঘাড়কে মুক্ত করুন এবং আমাকে উচ্চ পরিষদে স্থান দান করুন’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৫৪; মিশকাত, হা/২৪০৯; সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-১৬ : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন বলতেন,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَفَانِيْ وَآوَانِيْ وَأَطْعَمَنِيْ وَسَقَانِيْ وَالَّذِيْ مَنَّ عَلَيَّ فَأَفْضَلَ وَالَّذِيْ أَعْطَانِيْ فَأَجْزَلَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ اَلْلّٰهُمَّ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ وَإِلٰهَ كُلِّ شَيْءٍ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাফানী ওয়া আ-ওয়ানী ওয়া আত্ব‘আমানী ওয়া সাক্বানী ওয়াল্লাজী মান্না ‘আলাইয়্যা ফাআফযালা ওয়াল্লাযী আ‘ত্ব-নী ফাআজযালাল হামদু ‘আলা কুল্লি হালিন। আল্লা-হুম্মা রব্বা কুল্লি শায়ইন ওয়া মালীকাহু ওয়া ইলা-হা কুল্লি শায়ইন আ‘য়ুযুবিকা মিনান না-রি’।
অর্থ : ‘আল্লাহর প্রশংসা যিনি আমার প্রয়োজন নির্বাহ করলেন, আমাকে রাতে আশ্রয় দিলেন, আমাকে খাওয়ালেন, আমাকে পান করালেন। যিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করলেন এবং বহু অনুগ্রহ করলেন, যিনি আমাকে দান করলেন এবং যথেষ্ট দান করলেন। সুতরাং আল্লাহর প্রশংসা প্রত্যেক অবস্থায়। হে আল্লাহ! যিনি প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক ও তার অধিকারী এবং প্রত্যেক বস্তুর উপাস্য, আমি আপনার নিকট জাহান্নামের আগুন হতে আশ্রয় চাই’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৯৮৩; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৫৩৮; মিশকাত, হা/২৪১০; সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-১৭ : সূরা বানী ইসরাইল ও সূরা আয-যুমার পাঠ করা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিরাত্রে এ দু’টি সূরা না পড়ে ঘুমাতেন না (তিরমিযী, হা/২৯২০; সনদ ছহীহ)।
রাতে পার্শ্ব পরিবর্তনের দু‘আ
দু‘আ- ১ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন, তখন বলতেন,
لَا اِلٰهَ إلَّا اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيْزُ الْغَفَّارُ
উচ্চারণ : ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল ক্বাহ্হা-র। রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া মা- বায়নাহুমাল ‘আযীযুল গাফ্ফা-র’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক শক্তিশালী। আসমান-যমীন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর প্রতিপালক তিনি। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল’ (মুসতাদরাক হাকিম, হা/১৯৮০; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৫৩০; সিলসিলা ছহীহা, হা/২০৬৬; ছহীহুল জামেঈ‘, হা/৪৬৯৩; সনদ ছহীহ)।
নিদ্রাবস্থায় অশান্তি, আতঙ্ক ও ভয় পেলে দু‘আ
দু‘আ- ১ : আমর ইবনু শু‘আইব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন বলে,
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمْزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَ اِنْ يَّحْضُرُوْنَ
উচ্চারণ : আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন গযাবিহী ওয়া ‘ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়া মিন হামযা-তিশ শায়া-ত্বীনি ওয়া ইয়ঁ ইয়াহ্যুরূন’।
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহর ক্রোধ ও তার শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের অপকারিতা হতে এবং শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হতে। আর তারা যেন আমার কাছে উপস্থিত হতে না পারে’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৯৩; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; মিশকাত, হা/২৪৭৭; সনদ হাসান)।
ফযীলত
এই দু‘আ পাঠ করলে শয়তানের কুমন্ত্রণা পাঠকারীর কোন ক্ষতি করতে পারবে না (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৯৩; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; মিশকাত, হা/২৪৭৭; সনদ হাসান; বিঃ দ্রঃ- এ হাদীছের বাকী অংশ যঈফ)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ