দৈনন্দিন পঠিতব্য দু‘আসমূহ
হজ্জ ও ওমরাহ
হজ্জ ও ওমরাহ পালনকারী মুহরিম ব্যক্তির তালবিয়া
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাথার কেশ জড়ানো অবস্থায় (তালবিয়া) বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,
لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্ল-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নি‘মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক’।
অর্থ : ‘আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সাম্রাজ্য আপনারই। আপনার কোন শরীক নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯, ৫৯১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪)।
রুকনে ইয়ামানী এবং হাজারে আসওয়াদের মাঝে দু‘আ
আব্দুল্লাহ ইবনু সায়েব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্য জায়গায় বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন,
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচান’ (আবূ দাঊদ, হা/১৮৯২; মিশকাত, হা/২৫৮১, সনদ হাসান)।
ছাফা ও মারওয়ায় সাঈরত অবস্থায় দু‘আ
সাঈ সম্পাদনকারী ছাফা পর্বতের উপর ৩ বার এবং মারওয়া পর্বতের উপর ৩ বার ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে হাত তুলে আল্লাহর একত্ব ও বড়ত্ব বর্ণনা করে বলবে,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর; লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ আংজাযা ও‘দাহু ওয়া নাছারা ‘আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযা-বা ওয়াহদাহু’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, আর তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা’বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাকী সমস্ত সম্মিলিত শক্তিকে পরাভূত করেছেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; আবূ দাঊদ, হা/১৮৭২)।
‘আরাফার দিনে দু‘আ
নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং পূর্ববর্তী নবীগণ ‘আরাফার দিনে বলতেন,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। যাবতীয় সাম্রাজ্য তাঁরই এবং তাঁর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান’ (তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৫৯৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
ফযীলত : ‘আমর ইবনু শুআইব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সর্বোত্তম দু‘আ হল ‘আরাফার দিনের দু‘আ এবং সর্বোত্তম যিকির যা আমি বলেছি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ বলেছেন, তাহল- لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ’ (তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৫৯৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
প্রসঙ্গসমূহ »:
দু‘আ