ঈদ, কুরবানী, হজ্জ ও ওমরাহ
ছাফা ও মারওয়ায় সাঈরত অবস্থায় দু‘আ ও যিকর
সাঈ সম্পাদনকারী ছাফা পর্বতের উপর ৩ বার এবং মারওয়া পর্বতের উপর ৩ বার ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে হাত তুলে আল্লাহর একত্ব ও বড়ত্ব বর্ণনা করে বলবে,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু আংজাযা ও‘দাহু ওয়া নাছারা ‘আবদাহু ওয়াহাযামাল আহযা-বা ওয়াহ্দাহু’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, আর তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাকী সমস্ত সম্মিলিত শক্তিকে পরাভূত করেছেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; আবূ দাঊদ, হা/১৮৭২)।
‘আরাফার দিনে দু‘আ ও যিকির
দু‘আ-১ : নবী করীম (ﷺ) এবং পূর্ববর্তী নবীগণ ‘আরাফার দিনে বলতেন,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। যাবতীয় সা¤্রাজ্য তাঁরই এবং তাঁর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান’ (তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৫৯৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
ফযীলত : নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, সর্বোত্তম দু‘আ হল ‘আরাফার দিনের দু‘আ এবং সর্বোত্তম যিকির যা আমি বলেছি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ বলেছেন (তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৫৯৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
মুযদালিফায় দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাসওয়ার পিঠে আরোহণ করে মাশ‘আরুল হারাম নামক স্থানে (মুযদালিফায়) এসে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর নিকট নি¤েœর দু‘আগুলো করেন,
اَللّٰهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : ‘আল্লা-হু আকবার’। অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’।
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাা-হু’। অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই’।
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লা-হি’। অর্থ : ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য’।
জামরায় পাথর নিক্ষেপের সময় দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথম জামরায় ৭টি, মধ্যবর্তী জামরায় ৭টি এবং জামরায়ে ‘আকাবায় ৭টি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর মারার সময় (তাকবীর) বলতেন,
اَللّٰهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হু আকবার’। অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৫৩)।
যমযমের পানি পান করার সময় দু‘আ ও যিকর
দু‘আ-১ : যমযম পানি পান করার সময় দাঁড়িয়ে বলবে,
بِسْمِ اللّٰهِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লা-হি’।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (পানি পান করছি)’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২০২২)।