দু‘আ ও যিকির
রাতে জাগ্রত হয়ে পঠিতব্য দু‘আ
দু‘আ-১ : আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে জাগ্রত হতেন, তখন নি¤েœর প্রত্যেকটি দু‘আ দশ বার করে বলতেন।
اَللّٰهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার’। অর্থ : ‘আল্লাহ মহান’।
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লি-ল্লাহ’। অর্থ : ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য’।
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-না ল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি’। অর্থ : ‘আল্লাহ মহা পবিত্র এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য’।
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’। অর্থ : ‘মহা অধিপতি মহাপবিত্র আল্লাহ’।
اَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্ল-হ’। অর্থ : ‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি’।
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লা-ল্লাাহ’। অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই’।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ ضَيْقِ الدُّنْيَا وَضَيْقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নি আ‘য়ূযুবিকা মিন যাইক্বিদ দুন্ইয়া ওয়া যাইক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ’। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় অভাব, সংকীর্ণতা ও বিপদগ্রস্ততা হতে আশ্রয় চাচ্ছি’ (আবূ দাঊদ, হা/৫০৮৫, সনদ হাসান ছহীহ)।
দু‘আ-২ : রবী‘আ ইবনু কা‘ব আল-আসলামী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হুজরা মুবারকের নিকটেই রাত্রি যাপন করতাম। তিনি যখন রাতে উঠতেন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নি¤েœর দু‘আগুলো বলতেন,
سُبْحَانَ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-না রব্বিল ‘আলামীন’। অর্থ : ‘সারা জাহানের রব পবিত্র’।
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি’। অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র এবং সকল প্রশংসা তাঁরই’ (নাসাঈ, হা/১৬১৮; সনদ ছহীহ)।
سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
উচ্চারণ : ‘সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ’। অর্থ : ‘যে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে, তিনি তা শুনেন’।
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন’। অর্থ : ‘সমস্ত প্রশংসা সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য’ (তিরমিযী, হা/৩৪১৬; সনদ ছহীহ)।
দু‘আ-৩ : ওবাদা ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতে জাগ্রত হয়ে বলতে হয়,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ وَسُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ.
উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইং ক্বদীর ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লা-হি রব্বিগ ফিরলী’।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত আমার কোন শক্তি ও সামর্থ্য নেই’। ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’।
ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কেউ যদি রাতে জাগ্রত হয়ে উক্ত দু‘আ পড়ে কোন প্রার্থনা করে, আল্লাহ তার সে প্রার্থনা মঞ্জুর করেন এবং সে যদি ওযূ করে ছালাত আদায় করে, আল্লাহ তার সে ছালাতও কবুল করেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/১১৫৪, ‘তাহাজ্জুদ’ অধ্যায়, ‘অনুচ্ছেদ-১৯; মিশকাত, হা/১২১৩)।
দু‘আ-৪ : সূরা আলে ‘ইমরানের শেষের দশ (১৯০-২০০) আয়াত পাঠ করা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক ও ওযূ করে (অন্য বর্ণনায়, ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে) তা পাঠ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩)।