সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

 অমিয় বাণী 

- হাফেয আবূ তাহের বিন মজিবুর রহমান 



 عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ قالَ واحْذَرْ أنْ تَجلِسَ مَعَ صاحِبِ بِدْعَةٍ

১- আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তুমি বিদ‘আতীর সাথে বসা থেকে সতর্ক হও’।[১]
----

عَنْ يَحْيٰى بْنِ أَبِيْ كَثِيْرٍ قالَ إذا لَقِيْتَ صاحِبَ بِدْعَةٍ فِيْ طَرِيْقٍ فَخُذْ فِيْ طَرِيْقٍ آخَرَ

২- ইয়াহইয়া ইবনু আবি কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যখন  রাস্তায় তোমার বিদ‘আতীর সাথে সাক্ষাৎ হবে তখন তুমি ভিন্ন রাস্তা গ্রহণ কর’।[২]
----
 عَنِ الْحَسَنِ قاَلَ لَا تُجَالِسْ صَاحِبَ بِدْعَةٍ فَإنَّهُ يُمْرِضُ قَلْبَكَ

৩- হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তুমি বিদ‘আতীর সাথে বসিও না। কেননা সে তোমার অন্তরকে আক্রান্ত করে দিবে’।[৩]
----
 قَالَ الْفُضَيْلُ مَنْ جَلَسَ مَعَ صَاحِبِ بِدْعَةٍ لَمْ يُعْطَ الحِكْمَةَ

৪- ফুযাইল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিদ‘আতীর সাথে বসে তাকে হিকমত দেয়া হয় না’।[৪]
----
 عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ مَنْ جَالَسَ صَاحِبَ بِدْعَةٍ نُزِعَتْ مِنْهُ الْعِصْمَةُ وَوُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ

৫- কতিপয় সালাফ হতে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি বিদ‘আতীর সাথে বসবে তার পাপমুক্তির পথ ছিনিয়ে নেয়া হবে এবং তাকে নিজের প্রতি ন্যস্ত করা হবে’।[৫]
----
 عَنْ إبْرَاهِيْمَ قالَ لَا تُجَالِسُوْا أَصْحَابَ الْأَهْوَاءِ، وَلَا تُكَلِّمُوْهُمْ فَإنِّيْ أَخَافُ أنْ تَرْتَدَّ قُلُوْبُكُمْ

৬- ইবরাহীম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তোমরা বিদ‘আতীদের সাথে বসবে না, তাদের সাথে কথাও বলবে না। কারণ আমি আশঙ্কা করছি যে, সে তোমাদের অন্তরকে বিকৃত করে দিবে’।[৬]
----
 قَالَ الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ لَا يُمْكِنُ أَنْ يَكُوْنَ صَاحِبُ سُنَّةٍ يُمَالِيْ صَاحِبَ بِدْعَةٍ إِلَّا مِنَ النِّفَاقِ 

৭- ফুযাইল ইবনু ইয়ায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুনাফিক ছাড়া সুন্নাতের অনুসরণকারীর জন্য সম্ভব নয় বিদ‘আতীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া বা (মাথা) নোয়ানো’।[৭]
----
 قالَ الفُضَيْلُ لَا تَجْلِسْ مَعَ صَاحِبِ بِدْعَةٍ فَإنِّيْ أَخَافُ أنْ تَنْزِلَ عَلَيْكَ اللَّعْنَةُ

৮- ফুযাইল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তুমি বিদ‘আতীর সাথে বসবে না। কারণ আমি ভয় করছি যে, তোমার উপর লা‘নত বর্ষিত হবে’।[৮]
----
 قَالَ الْفُضَيْلُ مَنْ أَحَبَّ صَاحِبَ بِدْعَةٍ أَحْبَطَ اللهُ عَمَلَهُ، وَأَخْرَجَ نُورَ الْإِسْلَامِ مِنْ قَلْبِهِ

৯- ফুযাইল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিদ‘‌আতীকে ভালোবাসবে আল্লাহ তার আমল নষ্ট করে দিবেন এবং তার অন্তর থেকে ইসলামের আলো বের করে দিবেন’।[৯]
----
 قَالَ ابْنُ عَوْنٍ مَنْ يُجَالِسُ أَهْلَ الْبِدَعِ أَشَدُّ عَلَيْنَا مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ

১০- ইবনু আওন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিদ‘আতীর কাছে বসে সে আমাদের নিকট বিদ‘আতীর চেয়েও কঠিন’।[১০]
----
 عَنْ الْحَسَنِ وَابْنِ سِيْرِيْنَ أَنَّهُمَا قَالَا لَا تُجَالِسُوْا أَصْحَابَ الْأَهْوَاءِ وَلَا تُجَادِلُوْهُمْ وَلَا تَسْمَعُوْا مِنْهُمْ

১১- হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) উভয়ে বলতেন, ‘তোমরা বিদ‘আতীদের সাথে উঠা-বসা করবে না, তাদের সাথে তর্কে জড়াবে না এবং তাদের কোন কথাও শুনবে না’।[১১]
----
 قَالَ الْإِمَامُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لَا تُنْكِحُوْا أَهْلَ الْبِدَعِ وَلَا يُنْكَحُ إلَيْهِمْ وَلَا يُسَلِّمُ عَلَيْهِمْ

১২- ইমাম মালেক ইবনু আনাস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তোমরা বিদ‘আতীর সাথে বিবাহ দিও না ও তাদের বিবাহও করাবে না এবং তাদের সালাম দিবে না’।[১২]


তথ্যসূত্র:
[১]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৪০।
[২]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৪০।
[৩]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৪১।
[৪]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৪১।
[৫]. আশ-শাত্বিবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪০।
[৬]. আশ-শাত্বিবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৭২।
[৭]. আল-ইবানাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৬।
[৮]. আল-ইবানাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৯।
[৯]. আল-ইবানাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৯।
[১০]. আল-ইবানাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭৩।
[১১]. সুনান আদ-দারেমী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৯১।
[১২]. আল-ওয়াজীযু ফী আক্বীদাতিস সালাফিছ ছালিহি, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৮৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: অমিয় বাণী

ফেসবুক পেজ